ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / লতিফ সিদ্দিকীর জন্য ক্ষমা চাইলেন ছোটভাই কাদের সিদ্দিকী

লতিফ সিদ্দিকীর জন্য ক্ষমা চাইলেন ছোটভাই কাদের সিদ্দিকী

kader-siddique-latif-siddique...... ১১ অক্টোবর ২০১৪: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আমার কেউ না। তবে বড় ভাই হিসেবে তার বক্তব্যের জন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করছি। লতিফ সিদ্দিকীকেও তার বক্তব্যের জন্য আল্লাহ এবং জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করতে হবে। তা করলে প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে এবং যা শাস্তি হওয়ার তাই হবে।

শনিবার সকালে প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে পরিবারের সদস্য হিসাবে কাদের সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে জাতি মর্মাহত, আমরাও মর্মাহত। আমি মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। মুসলমান হিসেবে এর প্রতিবাদ জানাতে এখানে এসেছি।

তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আমার কেউ না। কিন্তু আল্লাহপ্রদত্ত সম্পর্কে তিনি আমার বড়ভাই। এ সম্পর্ক বাজার থেকে কেনা যায় না। আমাদের বাবা-মা এক। আমাদের মধ্যে একই রক্ত প্রবাহিত। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার বড় ভাইকে হেদায়েত করেন, ক্ষমা করেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, বড়ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমা না চাইলে তার বিচার আল্লাহ করবেন। পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি ক্ষমা চাইতে এসেছি। আল্লাহকে বলবো, পৃথিবীর সব লোককে ক্ষমা করে দিলেও তোমার কোনো ক্ষতি নেই। আবার সবাইকে শাস্তি দিলেও তোমার কোনো লাভ নেই। আল্লাহ তুমি তাকে হেদায়েত কর, সুমতি দাও। আমিন।

এ সময় কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও লতিফ সিদ্দিকীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়। সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতারা ছাড়াও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ্ব আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ্ব ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজ্বে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজ্বের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, তাবলীগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।

তিনি তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন।

প্রবাসীদের সম্পর্কে এসময় তিনি মন্তব্য করেন, বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে। রাজনীতি করার দরকার কী?

মঞ্চে বসা টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. নুরুন্নবীকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের জন্য একবার তাঁর (নুরুন্নবী) কাছে চাঁদা চেয়েছিলাম। তিনি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এক লাখের কম কারও কাছ থেকে চাঁদা নেয় না।

 

One comment

  1. ও বুঝতে পারছেন এতদিন পর । ভুল করে ফেলেছেন