৩ অক্টোবর ২০১৪: দ্বিতীয় প্রান্তিকে মন্দা-পূর্ব সময়ের সর্বোচ্চ জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) হিসাবে দেখা গেছে, এ সময় সংশোধিত প্রবৃদ্ধি হয়েছে দশমিক ৯ শতাংশ। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
ওএনএসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে জিডিপি বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ। আগের দশমিক ৮ শতাংশ হিসাবের চেয়ে তা অনেকটাই বেশি। সার্বিক জিডিপি ২০১৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্রিটেনের সেবা খাতের কার্যক্রম ১ দশমিক ১ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। ২০১১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর এটিই সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রবৃদ্ধি। এ সময় নির্মাণ খাতের সংশোধিত প্রবৃদ্ধি বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ, যেখানে আগের হিসাবে কোনো প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি।
জিডিপি হিসাবে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্যগুলো সংশোধন করে প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যয়ের চেয়ে উৎপাদনের হিসাব এখানে বেশি ধরা হয়েছে। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নকাজে ব্যয় এবং যৌনবৃত্তি ও মাদক ব্যবসার হিসাব এখানে যোগ করা হয়েছে। এ হিসাবে দেখা গেছে, প্রথম প্রান্তিকে আগের হিসাবের চেয়ে জিডিপি কমে দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারণা করছে, চলতি বছর যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৩ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যবসায় প্রবৃদ্ধিও বাড়তে থাকবে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যবসায় বিনিয়োগ ১১ শতাংশ বেড়েছে।
তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি সত্ত্বেও চলতি হিসাবে ঘাটতি বেড়েছে ব্রিটেনের । বছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপির তুলনায় চলতি হিসাবে ঘাটতি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে আরো বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে হিসাব করলে দেখা যায়, জিডিপির অনুপাতে ব্যাংক বাদে ব্রিটেনের জিডিপি বর্তমানে ৭৯ দশমিক ১ শতাংশ। পুরনো ব্যবস্থায় হিসাব করলে তা সাড়ে ৭৬ শতাংশ।
ব্রিটিশ চেম্বারস অব কমার্সের (বিসিসি) প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড কের্ন বলেন, চলতি হিসাবে ঘাটতি এমন একপর্যায়ে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অস্থিতিশীল হতে পারে।