২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, সোমবার: নিজেকে হজ ও তাবলীগের বিরোধী বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। নিউ ইয়র্কে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ দাবি করে হজ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেন। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি নিয়ে এমন মন্তব্য করায় যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়কে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন। তাতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি।
রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কস্থ টাঙ্গাইলবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন। এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় বাংলা মিডিয়ার প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র হজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোন কাম নাই। এদের কোন প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন আছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দীকী প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ‘সজিব ওয়াজেদ জয় কে? জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন। জয় শুধু উপদেশ দিতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক সরকার।
লতিফ সিদ্দিকী প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দিবেন। প্রবাস থেকে প্রকাশিত পত্র পত্রিকা গুলোকে লতিফ সিদ্দিকী টয়লেট পেপার বলে আখ্যায়িত করেন। অপরদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টক শোতে যারা গ্রহণ করেন তাদেরকে ‘টক মারানি’ বলে অভিহিত করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর অপসারন দাবী করেছে হেফাজতে ইসলামী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার দাবি করে এক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তারা বলেন, পবিত্র হজ ও হাজীদের কটাক্ষ করা মহানবী সা.-কে বিদ্রুপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা কেবল একজন উগ্র নাস্তিকের পক্ষেই সম্ভব। আমরা অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যদি সরকার তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তবে দেশের লক্ষ-কোটি নবীপ্রেমিক জনতা আবারও ২০১৩ সালের মতো সারাদেশে নাস্তিক-বিরোধী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। এবং প্রমাণিত হবে আ’লীগ নাস্তিক-মুরতাদদের দল। আমরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত, স্তম্ভিত এবং লজ্জিত যে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে গিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মহানবীর ব্যাপারে জঘন্য কটূক্তি, পবিত্র হজ ও হাজীদের ব্যাপারে চরম আপত্তিকর মন্তব্য এবং তাবলীগ জামাআতের ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে সাহস পেলেন। আমরা একই সাথে হুশিয়ারি উচ্চারণ করছি, সরকার ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে তার জন্য সালমান রুশদী ও তাসলিমা নাসরিনের পরিণতি অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের মাটিতে তাকে পা রাখতে দেয়া হবে না।
আফসোস সাদ আফসোস লতিফ সিদ্দিকী সাহেব! আপনি একজন মুস্লমান হয়ে হজ্জ ও তাব্লীগের সম্পর্কে এরূপ মন্তব্য কি ক্রে ক্রলেন? এরূপ মন্তব্য ক্রার সময় আপনার অন্তরআন্তমা এক্তুও কি কাঁপলো না,এক্তুও কি আল্লাহ তায়ালার ভ্য আপনার অন্তরে আসলো না। আপনি কিভাবে, যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য নির্ধারণ ক্রেছেন সেটাকে এরূপ বাজে ভাষাতে মন্তব্য ক্রলেন? আপনি কি সত্যি সত্যি বাঘা বাঙ্গালী তথা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই? আপনি বুঝতে পারছেন না যে, এরূপ মন্তব্য ক্রে ইসলামী শ্রীয়া আইনের দৃষ্টিতে আপনি ক্ত ব্ড় অপ্রাধ ক্রে ফেলেছেন। সময় থাকতে আল্লাহ তায়ালার দরবারে আপনার এই অপ্রাধের জন্য ক্ষমা চান,তওবা ক্রুন।এরপ্র সমগ্র মুস্লিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চান,চাইতে হবে নচেত আল্লাহ তায়ালার দ্রবারে কোন মুখ নিয়ে হাজির হবেন। দ্যা ক্রে এই অধ্মের কথাটি এক্যু অন্তর দিয়ে ভেবে দেখবেন প্লিজ।