– ৯০ ভাগ সিলেটীদের সার্ভ করছেন ৯০ ভাগ নন সিলেটী
– বাংলাদেশ বিমানেও সিলেটী স্টাফ নিয়োগের দাবী
– স্টাফরা না জানেন ভালো ইংলিশ, না জানেন সিলেটী ভাষা
লন্ডনবাংলা রিপোর্ট : লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে শতকরা ৯০ ভাগ অফিসার ও কর্মচারী সিলেটের বাইরের অঞ্চলের। তাই হাই কমিশনের কনস্যুলার সেকশনে ভাষাগত সমস্যায় অনেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে বৃটেনে বসবাসরত সিলেটী কমিউনিটির ছেলে-মেয়েরা হাই কমিশনে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হন। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ইংরেজী ও সিলেটী ভাষায় পারদর্শী। তারা শুদ্ধ বাংলা কথা বলতে অভ্যস্থ নয়। আবার তাদের ককনী ইংলিশ অনেক সময় হাই কমিশনের স্টাফরা বুঝতেও হিমশিম খায়।
এ ব্যাপারে একজন প্রত্যক্ষদর্শী তার অভিজ্ঞতা বর্ননা করতে গিয়ে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, বৃটেনে বসবাসরত শতকরা ৯০ ভাগ সিলেট অঞ্চলের বাংলাদেশীদের জন্য হাই কমিশনে কাজ করছে শতকরা ৯০ ভাগ সিলেটের বাইরের কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। নতুন প্রজন্মের সিলেটী কমিউনিটির সন্তানেরা প্রায়ই হাই কমিশনে কোন কাজ করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যায় পড়েন। এনিয়ে অনেক সময় বাক বিতন্ডাও দেখা দেয়।
বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটি বৃহত্তম সংগঠন গ্রেটার সিলেট ডেভোলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকের কেন্দ্রীয় চেয়ারপার্সন নুরুল ইসলাম মাহবুব ও সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়ছর লন্ডনবাংলার সাথে আলাপকালে তাদের বক্তব্যে- বাংলাদেশ হাইকমিশনের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেষ্টার অফিসে সিলেটী ভাষায় পারদর্শী দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ বিমান ও সোনালী ব্যাংকেও অধিক সংখ্যাক সিলেটী কর্মচারী নিয়োগের দাবী জানান।
তারা বলেন, এ দাবী অনেক দিনের। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সে দাবীর প্রতি কোন গুরুত্ব দিচেছনা। তাই জনগনের দাবী অনুযায়ী বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে।
ইতিমধ্যে বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এসোসিয়েশন থেকেও বিমানে সিলেটী ভাষায় পারদর্শী এয়ার হোস্টেজ নিয়োগেরও দাবী জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচছুক একজন কমিউনিটি নেতা বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রায়ই বাংলাদেশে জায়গা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাইকমিশনে যান, কিন্তু সিলেটী অফিসার না থাকায় তাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচেছ।
এ ব্যাপরে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ হাইকমিশনে অধিক সংখ্যাক সিলেটী স্টাফ নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন।