বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ : ইরাক ও সিরিয়ার কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বন্দী আরো এক মার্কিন সাংবাদিককে শিরচ্ছেদ করে হত্যা করেছে। জেমস ফলির পর এবার স্টিভেন সটলফ। ফের ইরাকি জঙ্গি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএসের হাতে প্রাণ গেল আরও এক মার্কিন সাংবাদিকের। বছর ৩১-এর স্টিভেন সটলফকে গলা কেটে খুন করার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইরাকি জঙ্গি গোষ্ঠীটি। ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর।
সেই একই দৃশ্য। ইরাকি আইএসআইএস জঙ্গির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছে একজন। পিছনের দিকে হাত বাঁধা। ক্যামেরার সামনে কিছুক্ষণের ভাষণ। আর তারপরই নির্মমভাবে গলা কেটে খুন করা হল হাঁটু গেড়ে বসে থাকা মানুষটিকে। উনিশে অগাস্ট আইএসআইএস জঙ্গিদের হাতে মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলির গলা কেটে খুন হওয়ার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সেই ঘটনার পনেরো দিন বাদে ফের এক মার্কিন সাংবাদিককে একইভাবে গলা কেটে খুন করল আইএসআইএস জঙ্গিরা। নিহত সাংবাদিকের নাম স্টিভেন সটলফ।
খুন হওয়ার আগে ক্যামেরার সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে সটলফ বলেছেন– ইরাক সম্পর্কে আপনার বিদেশ নীতি সম্ভবত মার্কিন নাগরিকদের জীবন এবং স্বার্থ সুরক্ষিত করার উদ্দেশেই। কিন্তু ইরাকের ব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপের মূল্য তাঁকে জীবন দিয়ে মেটাতে হল। তিনি কি মার্কিন নাগরিক নন?
এরপরই সটলফের পাশে দাঁড়ানো আইএসআইএস জঙ্গির মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুঁশিয়ারি– ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির ওপর ওবামার হিংসাত্মক বিদেশ নীতি, অবিরাম বোমা বর্ষণ এবং বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও যেভাবে আইএসআইএস জঙ্গিদের ওপর আঘাত হেনেছে আমেরিকা, তারই ফল এটা। আইএসআইস জঙ্গিদের ওপর মার্কিন ক্ষেপনাস্ত্র হানা বন্ধ না হলে বেছে বেছে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ওই জঙ্গি।
যদিও স্টিভেন সটলফের খুনের এই ভিডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। একইসঙ্গে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফ খুনের ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। টুইটারে তিনি লিখেছেন ভিডিওটি সত্যি হলে এটা খুবই নৃসংশ ঘটনা। একইসঙ্গে সটলফের পরিবারকে সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
amar mote sonni namdari bidatira je sonnioter name je opokormo kore bedasse atai tar proman.