টিআইবি’র কাজ সংবিধানসম্মত। তাই সংসদে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের এ নিয়ে কথা বলা যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
টিআইবিকে কারও চ্যালেঞ্জ করা এখতিয়ারবহির্ভূত বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল অবকাশে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ, সুশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রতিবেদনের সারাংশ উপস্থাপন করেন টিআইবি’র গবেষণা ও পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন এডভোকেট সুলতানা কামাল, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান।
অনুষ্ঠানে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবি সরকারের একটি নিবন্ধিত সংস্থা। আমরা যে কাজ করি তা সরকারের অনুমতি নিয়েই করি। সরকারের অনুমতি ছাড়া আমরা কোন কাজ করতে পারি না। আমরা যে পার্লামেন্ট ওয়াচ করেছি সেখানেও সরকারের অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমরা একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরা কখনোই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট নই। আমরা যখন সংসদ নিয়ে কথা বলি, তখন আমাদের রাজনীতি নিয়েও কথা বলতে হয়। সরকার ও সংবিধান আমাদের কাজ অনুমোদন করে। আমাদের কাজ সংবিধানসম্মত।
টিআইবির আয়ের উৎস ও ব্যয় সম্পর্কে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু টিআইবি সরকারের অনুমোদিত সংস্থা। তাই সরকারের অনুমতি ছাড়া একটি পয়সাও আমাদের একাউন্টে আসে না। সরকারের নির্ধারিত খাতের বাইরে একটি পয়সাও আমরা খরচ করতে পারি না। তাই সংসদে দাঁড়িয়ে দায়িত্বশীল লোকজনের টিআইবিকে নিয়ে কথা বলা যৌক্তিক বলেও মনে করি না।’
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরামর্শের সমালোচনা করে ড. ইফতেখার বলেন, রাজনীতিতে যোগ দেব কি না সেটা আমার ব্যক্তিগত এখতিয়ার। তবে টিআইবি ও আমরা মনে করি, আমাদের এ ধরনের ইচ্ছা কখনোই হবে না।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারে গেলে আমাদের সমালোচনা করে, বিরোধী দলে গেলে আমাদের আঁকড়ে ধরে।