জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টের দায় আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক দিবস উপলক্ষে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ১৯৭২ সালে আসীন হয়ে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনষ্ট করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এবং সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রের আদর্শ-উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে জলাঞ্জলী দিয়ে পাকিস্তানি শাসনের ভাবধারাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এ থেকে জাতি মুক্ত হতে পারছে না।’
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনষ্টের দায় আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আওয়ামী লীগ বহন বা লালন করে না তা আজ প্রমাণিত সত্য।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী করে তুলছে- যা হবে ভবিষ্যতের জন্য আরো ভয়াবহ ও বিপজ্জনক।’
এ অবস্থায় স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জাতির জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন আ স ম রব।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জনগণ যখন গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেয়েছে, আওয়ামী লীগ তখন দুঃশাসন ও লুটপাট উপহার দিয়েছে এবং বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’
‘এ ধারা থেকে তারা (আওয়ামী লীগ) আজো বেরিয়ে আসতে পারেনি। ফলে জনগণ তাদের দলতান্ত্রিক শাসন চায় না। বর্তমান উপজেলা নির্বাচনে জোর-যবরদস্তি না করলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শতকরা ১০ জন প্রার্থীও বিজয়ী হতে পারতো না।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এম এ গোফরান, মো. সিরাজ মিয়া, আবদুল খালেক, আবদুর রাজ্জাক রাজা, জাহাঙ্গীর আলম, মকবুল হোসেন, মোশারফ হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা শামছুল আলম নিক্সন, রিয়াজুল মোর্শেদ টিটু প্রমুখ।