দশম জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির আরো দুই সদস্য যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের ও এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে রাতে জি এম কাদের বলেন, তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি শুনছেন। তবে তিনি এখনো কোনো আমন্ত্রণ পাননি। একই কথা বলেছেন এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারও। তারা কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করা যায়নি। এ এইচ মাহমুদ আলী বিগত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের ৪৯ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী শপথ নেন গত ১২ জানুয়ারি। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও মজিবুল হক চুন্নু বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন জি এম কাদের এবং এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার। এছাড়াএ দলের চেয়ারম্যান এরশাদ মন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংসদে দলটির ৩৩ জন সাংসদ রয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী ফের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এবং মেজর রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ফিরছেন বলে জানা গেছে। নজরুল ইসলাম হীরু তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নরসিংদী-১ থেকে নির্বাচিত সাংসদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরুও বুধবার দুপুরে শপথ নিচ্ছেন। সাংসদ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু এটিএন টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ”আমি মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছি। বুধবার দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠিত হবে।” মেজর রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম আবুল হাসান মাহমুদ আলী নবম জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেও নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দিনাজপুর-৪ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী থেকে নির্বাচিত সাংসদ শাহরিয়ার আলম। অন্যদিকে মেজর রফিকুল ইসলাম বীরবিক্রম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথমদিকে মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি চাঁদপুর শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০৮ সালেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।