প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভাবনা কী জানিনা। তবে আমার মতে, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচন করার মতো কোন অবস্থা তৈরী হয়নি। কারণ জাতীয় নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য হয়েছে। কাজেই আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকব ইনশাআল্লাহ’। তিনি বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, হয়েছে। এখন সংসদ বসেছে। সংসদ গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সংসদ চলবে’।
রোববার দুপুর ১টায় সাংগঠনিক সফরে কুড়িগ্রাম এসে স্থানীয় সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে জাপা প্রার্থীদের ভরাডুবি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘এটা লাঙ্গল মার্কার নির্বাচন নয়, তাছাড়া একাধিক প্রার্থী থাকায় ফলাফল ভাল হয়নি’। এ সময় তিনি তার দলে কোন কোন্দল নেই বলে দাবী করেন। দুপুরে রংপুর থেকে কুড়িগ্রামে পৌঁছলে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদকে সরকারি প্রটোকল ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
পরে এরশাদ দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী চৌধুরী সফিকুল ইসলাম, জাপা নেতা আজিজার রহমানসহ স্থানীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
অপর দিকে ফিরে যাওয়ার সময় সার্কিট হাউস গেটে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, কারো পক্ষে কথা বলা যাবেনা। যেহেতু প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। কথা বললে আচরণ বিধি লংঘন করা হবে। আমি কয়েক জায়গায় গিয়েছিলাম কথা বলিনি। আমাকে জবাব দিতে হবে। কথা বলা নিষেধ আছে। আমি এসেছি আপনাদের দেখার জন্য। আপনারা কেমন আছেন। নির্বাচনের ফলাফল ভাল করে পড়েন। আমাদের চেয়ে জামায়াত বেশি ভোট পেয়েছে, বেশী উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে, আমাদের লজ্জা করে।
এসময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের একত্রিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান।