জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিদেশে পাঠাতে তৎপর রওশন এরশাদ। ইতোমধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত করেন দলের শীর্ষ নেতারা।
দলীয় সূত্র জানায়, রওশন এরশাদ দলের চেয়ারম্যানের স্ত্রী হলেও এখন তিনি সম্পূর্ণ এরশাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে জাতীয় পার্টির সব সিদ্ধান্তই তিনি নিচ্ছেন এরশাদকে সাইড লাইনে রেখে। এমনকি মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ডাকা হচ্ছে না বিরোধী দলের বৈঠকে। আর এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদেরকে উপেক্ষা করছেন শুরু থেকেই। এসব কারণেই মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এরশাদ।
সূত্র মতে, সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও চিফ হুইপ নির্বাচন নিয়ে ৯ জানুয়ারি শপথের পর থেকে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এরশাদ ও রওশন। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি বনানীর কার্যালয়ে বৈঠক করে সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য ৬ জনের নাম চুড়ান্ত করেন এরশাদ। এই দিয়েও রওশন এরশাদ সঙ্গে এরশাদের বিরোধ লেগে যায়। আটকে যায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের নাম তালিকা। এখন ৬ জনের নামের নিধান্ত দিবেন রওশন এরশাদ।
সূত্র আরো জানায়, এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে ছাড়াই সংসদীয় দলের বৈঠকেও করেন রওশন। ওই দুই শীর্ষ নেতাকে উপক্ষো করেই বিরোধী দলের চিফ হুইপ নির্বাচিত করেন তারা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে দলের সাংগঠনিক জেলার জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় করেন এরশাদ। এ সভায় আমন্ত্রণ জানানোর পর যোগ দেননি বিরোধীদলীয় নেতা রওশন ও তার পন্থী জাপার ৩০জন সংসদ সদস্য। এতে এরশাদের সঙ্গে রওশনের দুরত্ব আরও স্পস্ট হয়ে ওঠে। দৃশ্যমান হল জাপার খন্ডনরেখা।
জাপা মুখ্পাত্র ববি হাজ্জাজ বলেন, এরশাদকে মাইনাস করে কেউ জাতীয় পার্টি করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে স্যারকে (এরশাদ) বিদেশে পাঠাতে ব্যার্থ হবেন তারা।
তবে জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, এরশাদ-রওশন এরশদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। তারা দুই জনের সিধান্ত দল চলছে। দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সিধান্তের বাইরে নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্চুক জাপার আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দলকে নিয়ন্ত্রনে নিতে রওশন এরশাদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যাতে করে এরশাদকে বিদেশ পাঠানো যায়।