ব্রিটেনের স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। জানুয়ারিতে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা এখন লন্ডনের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় আঘাত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার বিদেশ সফর বাতিল করে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বুধবার কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।
ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর বলছে আগামী ক’দিনে পরিস্থিাতির আরো অবনতি ঘটবে।
টেমস নদী উপচে পড়ায় শত শত মানুষকে ঐসব এলাকা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ধেয়ে আসা একটি সামুদ্রিক ঝড়। একশ মাইল বেগের এই ঝড় ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে আঘাত করতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর লাল সতর্কতা জারি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মধ্যপ্রাচ্যে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর বাতিল করেছেন এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার মূল দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন।
“বাতাসের প্রবল ধাক্কায় পার্ক করা মোটর গাড়ি পর্যন্ত সরে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সমুদ্রে ভাঁটা চলছে। যখন জোয়ার হবে তখন ঢেউয়ের উচ্চতাও বেড়ে যাবে বলে।”
ব্রিটেনে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এই দুর্যোগের মুখে পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ১৬টি জায়গায় মারাত্মক বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪টি সতর্কীকরণ বার্তা জারি করা হয়েছে টেমস নদীর কূল বরাবর বার্কশায়ার, সমারসেট এবং সমারসেট কাউন্টি জুড়ে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লন্ডন ও অঙফোডের্র মধ্যবর্তী জেলা এবং উপকূলীয় অঞ্চলের নানা জায়গায় বন্যা এবং ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বন্যাপীড়িত মানুষজনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে।