বঙ্গোপসাগরের গভীরে থাকা প্রায় ১০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সাল নাগাদ এই ‘ভূখণ্ডে’ শস্য ফলানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ লক্ষ্যে উড়ির চর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম তৈরি করতে ৬৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার প্রকল্প নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মোট জমির পরিমাণ ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার একরের মতো। এর মধ্যে আবাদযোগ্য ২ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার একর। যা প্রতি বছর শতকরা এক ভাগ হারে কমছে। এটি কৃষি জমি বাড়ানোর প্রতি মনোযোগী করে তুলেছে সরকারকে।
বিষয়টি সামনে রেখে দেশের কৃষি জমির পরিমাণ বাড়াতে প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। এর ফলে যেমন বিশাল ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার হবে, তেমনই উড়ির চরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে নোয়াখালীর। এতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অনেক কৃষকের।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম রেজাউল মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন এই ১০ হাজার হেক্টর জমি অন্তর্ভুক্ত হবে দেশের স্থলভাগের সাথে। সেখানে কৃষিকাজ ছাড়াও স্থায়ী অবোকাঠামো তৈরি করা যাবে। এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানান, ১৯৫৬-৫৭ ও ১৯৬৪ সালে মেঘনা নদীর মোহনায় দুটি ক্রস ড্যাম নির্মাণ করা হয়। সেখানে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার চর জেগে উঠছে। এটিকে বিবেচনা করেই সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় আরো ৪টি ক্রস ড্যাম তৈরির জায়গা নির্বাচন করা হয়। সেগুলো হলো- উড়িরচর-সন্দ্বীপ, উড়িরচর-নোয়াখালী, জাহাজ্যার চর-নোয়াখালী ও জাহাজ্যার চর-সন্দ্বীপ।
London Bangla A Force for the community…
