ব্রেকিং নিউজ
Home / বিশ্ব / ৪ গাড়ি ও ১ হেলিকপ্টার বোঝাই করে টাকা নিয়ে পালিয়েছেন গনি

৪ গাড়ি ও ১ হেলিকপ্টার বোঝাই করে টাকা নিয়ে পালিয়েছেন গনি

 

আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফ গনি সাথে করে অবিশ্বাস্য পরিমাণ অর্থ নিয়ে গেছেন। চারটি গাড়ি ও একটি হেলিকপ্টার বোঝাই করে নগদ অর্থ তিনি নিয়ে গেছেন। কিন্তু তার কাছে আরো বেশি টাকা ছিল। একটি হেলিকপ্টারে টাকা বোঝাই করার পরও যেসব টাকা আরো কোথাও রাখা সম্ভব হয়নি, সেগুলো তিনি রেখে গেছেন। আরআইএ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।

কাবুলে রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশচেনকোর উদ্ধৃতি দিয়ে আরআইএ জানায়, চারটি গাড়ি ছিল অর্থে ভর্তি। তারা একটি হেলিকপ্টারেও টাকা ভর্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ফলে তারা অনেক টাকা টারমাকে ফেলে যেতে বাধ্য হন।

তিনি রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাজিকিস্তান নয় ওমান গেছেন আশরাফ গনি

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে তাজিকিস্তান চলে গেছেন বলে যে খবর বেরিয়ে তা অস্বীকার করেছে তাজিকিস্তান। এদিকে তিনি ওমান গেছেন বলে খবর দিয়েছে বেশকিছু গণমাধ্যম।

সিএনএনের খবরে প্রকাশ, তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, মোহাম্মদ আশরাফ গনি তাজিকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং কোনো ভূখণ্ডেও অবস্থান নেয়নি। আমরা এ বিষয়টি উল্লেখ করতে চাই যে, আমরা এ বিষয়ে আফগান পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধও পাইনি।’

আশরাফ গনি রোববার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এদিকে আফগান হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ তাকে ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা খবর দিয়েছে, আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় পেলেন না আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। বিমান ঘুরিয়ে ওমান পৌঁছেছেন তিনি। ওমান সরকার তাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে কি না, এখন পর্যন্ত তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে সোমবার ওমানেই রয়েছেন তিনি।

একসময় আমেরিকার নাগরিকত্ব ছিল গনির। ওমান থেকে তিনি আমেরিকা রওনা দিতে পারেন বলে জানিয়েছে ওই সংবাদসংস্থা।

তবে ওমানে একা নন গনি। তার সাথে সেখানে রয়েছেন আফগানিস্তানের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মোহিব।
তালেবানের সামনে কখন মাথা নত করবেন না বলে বার্তা দিলেও, সদ্য সাবেক উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ কিন্তু তাজিকিস্তানেই রয়েছেন।

অন্য দিকে, আফগানিস্তানের আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এখনো দেশেই রয়েছেন। আফগানিস্তানে পূর্ণ এবং সার্বিক সরকার গঠনের জন্য তালেবানের সাথে সমঝোতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

একসময় দীর্ঘদিন আমেরিকার নাগরিক ছিলেন গনি। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে, সেই নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান আমেরিকার নাগরিক। তাই শেষ পর্যন্ত গনি আমেরিকাতেই আশ্রয় নিতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।