করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের নবম দিন শুক্রবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এদিন ‘অপ্রয়োজনে’ বের হওয়ার অভিযোগে ৫৮৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
লকডাউনে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আগের দিন গ্রেপ্তার করা হয় ১ হাজার ১০২ জনকে।
কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে পুলিশ, বিজিবি, সেনা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালিত হচ্ছে।
মহানগার পুলিশের এক বার্তায় জানানো হয়, এদিন ১২৯ জনকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৪১৪টি গাড়িকে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
মানুষের মঝে সচেতনতা বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাইকিং করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করছে বলেও বার্তায় জানানো হয়।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে আলাদা এক বার্তায় জানানো হয়, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র্যাবের ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৬৪ জনকে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে।
এছাড়া ২৪২টি পরিবাকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি আড়াই হাজার মাস্ক বিতরণের কথাও জানিয়েছে র্যাব।
গত ১ জুলাই থেকে শুরু এই কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রথমে এক সপ্তাহ চলার কথা থাকলেও পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন।