কঠোর লকডাউনে অপ্রয়োজনে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা রাজধানীতে তৎপর রয়েছেন।
কঠোর লকডাউনে অপ্রয়োজনে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা রাজধানীতে তৎপর রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৪ জন। যা কিনা গতকালের চেয়ে বেশি। শুক্রবার ১৩২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর আজ নিয়ে টানা সাত দিন দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শতাধিক।
শনিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩৪ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ১৪ হাজার ৯১২ জন।
এর আগে গতকাল (২ জুলাই) মারা যান ১৩২ জন। তার আগের দিন গত ১ জুলাই করোনায় মারা যান দেশের মহামারিকালে সর্বোচ্চ ১৪৩ জন। তারও আগে গত ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন আর ২৮ জুন মারা যায় ১০৪ জন আর ২৭ জুন মারা যান ১১৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে দেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ২১৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন নয় লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জন। এ ছাড়া গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৭৭৭ জন। তাদের দেশে করোনা থেকে মোট সুস্থ হলেন আট লাখ ২৯ হাজার ১৯৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২২ হাজার ৭০৩টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ৬৮৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার ২১৭টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ছয় হাজার ৪৬৪টি।
গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৮৪ জন আর নারী ৫০ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১০ হাজার ৫৮০ জন আর নারী মারা গেলেন চার হাজার ৩৩২ জন।
১৩৪ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ রয়েছেন ৬৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন।
বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদফতর জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৩ জন, খুলনা বিভাগের ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের ১৫ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন চারজন।
১৩৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন সাতজন।