ব্রেকিং নিউজ
Home / সিলেট / সিলেটে গির্জার জায়গায় বহুতল ভবন : অ্যাডভোকেটসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিলেটে গির্জার জায়গায় বহুতল ভবন : অ্যাডভোকেটসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

 

সিলেটে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জা ও কবরস্থানের জায়গা জালিয়াতি করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগে সাবেক এক সাবরেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় কার্যালয় ও সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

জেলা স্টেডিয়াম লাগোয়া ৮০ শতক জায়গার ওপর ভবনটির পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে জায়গা ও ভবন নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় ২২ তলা ফাউন্ডেশনের এই টাওয়ার নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার সাবেক সাবরেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান পাটোয়ারী (৬৭), ইম্পালস বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম (৬০), সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক কানুনগো মলয় কর (৫৫) ও সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি ভূমি অফিসের সাবেক ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসহাব উদ্দিন (৬১)।

মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় খ্রিস্টানদের গির্জা ও কবরস্থানের ৮০ শতক জায়গা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ইম্পালস বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন। অপর তিন আসামি ওই কাজে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেন। সিলেট পুলিশ লাইন্স গির্জা সমিতি ওই ভূমির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল।’

সমিতির তৎকালীন সভাপতি যউবেল লুসাই দায়িত্বে থাকাকালে সিরাজুল ইসলামের নজর পড়ে অর্ধশত কোটি টাকা মূল্যের ওই জমিতে। তিনি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গির্জার কবরস্থানের জমিকে পতিত দেখিয়ে মামলার অপর অভিযুক্তদের যোগসাজশে জালিয়াতি ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন।

এ সময় আর্থিক সুবিধা নিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ভুয়া রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং সিরাজুল ইসলামের নামে জমি নামজারি করে দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয় মালার এজাহার ।

২০১২ সালে এ ভূমির রেজিস্ট্রিতে দাম ধরা হয়েছিল ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। বাস্তবে জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

আলোচিত ইম্পালস টাওয়ার নিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায় ও প্রতারণার শিকার একাধিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত শুরু করে। ভূমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করে।