বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, গড়ে সারাদেশে ৫ শতাংশ ভোট পড়েনি। অথচ আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ৪০ শতাংশ ভোট পড়ার ঘোষণা দিয়েছে। সবার চোখের সামনে এতবড় জালিয়াতি করে এখনো বড় বড় কথা বলছে। জনগণের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। তারা রাজনীতিকে কলুষিত করে ফেলেছে। নির্বাচনের নামে গত ৫ জানুয়ারি তারা প্রহসন করেছে। প্রমাণিত হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হতে পারেনা। প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ তরুণ ভোটারসহ সারাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবহ। এ নির্বাচন কোথায়ও গ্রহণযোগ্য হয়নি।
বুধবার বিকেলে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “কারসাজির মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার অপকৌশল বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষ মেনে নেয়নি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনো শক্তির চাপের কাছে তিনি মাথা নত করেন নি। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে এমন শাসকরা কোনোকালে ক্ষমা পায়না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আর এ গনি, লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আব্দুল মান্নান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শমসের মবিন চৌধুরী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান পটল, বেগম সারওয়ারী রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ দলীয় জোটে নেতৃবৃন্দের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ড.কর্নেল (অব) অলি আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাার্টির চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ড. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবদুল মোবিন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা ইসহাক, মুসলিম লীগের সভাপতি এইচ এম কামরুজ্জামান, জমিয়তে ওলামে ইসলামের সহ সভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভূইয়া, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, এনডিপির সভাপতি শেখ শওকত হোসেন নীলু, ন্যাপের সভাপতি সভাপতি জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জাল ভোট প্রদান ও কম সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শুরুর আগেই সম্মেলন কক্ষ দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে।