সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর নামে ভারতীয় বাহিনী অপারেশনে অংশ নিয়েছিল, এমন কিছু প্রমান ফাঁস হওয়ার পর ইন্টারনেট জগতে চলছে তোলপাড়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন বার্তায় বেরিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসের অনুরোধে সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ও গণহত্যায় সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিএসএফ।
চলমান রাজনৈতিক সংকটে ভারতীয় বাহিনীর সাহায্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাঠানো এই বার্তায় দেখা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩৩তম কোরের ১৭তম, ২০তম ও ২৭তম মাউন্টেন ডিভিশান, এবং বিএসএফ।
ফাঁস হওয়া বার্তাগুলো দেখুন,
ফাঁসকৃত প্রথম বার্তার পৃষ্ঠা-১:
ফাঁসকৃত প্রথম বার্তার পৃষ্ঠা-২:
ফাঁসকৃত দ্বিতীয় বার্তা:
দলিল গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,
২০১৩ নভেম্বরের ৭ তারিখে ইস্যু করা চিঠি পাঠিয়েছেন তৌফিক ইসলাম শাতিল। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। ইন্টারনেটে সার্চ করে দেখা যায় তিনি ২০১২ অগাষ্টে জর্ডানে বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অফ কনসাল ছিলেন। জর্ডানে ২৫ জন বাংলাদেশী নারী শ্রমিক অপহরণ ধর্ষণ ও গুম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি পত্রপত্রিকার সাথে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও জর্ডানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ যখন বাংলাদেশী দুতাবাসে কর্মরত এক জর্ডানী মেয়েকে যৌন হয়রানি করে, তখন শাতিল ছিলেন ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
শাতিলকে জানতে ক্লিক করুন,
চিঠির আরেকজন হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম।দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি ৬.৯.১১ তারিখে সামরিক বাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। ইন্ডিয়ায় তার অফিসের ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানাও দেয়া আছে। ঐ অফিসে তার সহকারীর নাম ল্যাফটেনান্ট কর্ণেল ফখরুল আহসান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম জানতে দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে ক্লিক করুন, (স্ক্রুল করে পেজের নিচে দেখুন, Defence Wing)
ঢাকায় ভারতীয় পক্ষের যোগাযোগকারি ছিলেন সুজিত ঘোষ। তিনি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের রাজনৈতিক সচিব। র এর বড় মাপের অপারেটিভ, অনেকে মনে করেন বাংলাদেশ ষ্টেশন চিফ।
সুজিতকে চিনতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন পেজে দেখুন,
(Counsellor, Political & Information, Sujit Ghosh)
চিঠির চরিত্রগুলোর মাঝে সবচাইতে বড় চরিত্র হলেন শহীদুল হক। একটা চিঠির প্রাপক। বাংলাদেশের ফরেন সেক্রেটারী। বায়োডাটা অনুযায়ী লন্ডন, ব্যাংকক, জেনেভায় কাজ করেছেন।
শহিদুলকে জানতে ক্লিক করুন,
click here
যোগাযোগের আরেকজন হলেন হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ। সবচেয়ে জুনিয়র এই ঘটনায়, এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। এডমিন ক্যাডারে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছিলৈা, পরে পররাষ্ট্রে আসে। সউদী আরবে ছিলো ছয়মাস। রেডিও আমার এর আরজে হিসেবেও কাজ করেছিলো। ঢাবি থেকে ২০১০ এ ফার্মেসিতে পাস করে।
তৌহিদকে জানুন,
click here
ফাঁস হওয়া এই গোপন দলিল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে চলছে তুমুল আলোচনা্র ঝড়।