ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কট্টরপন্থি ইব্রাহিম রাইসি। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার সকালে তার জয়ের খবর প্রকাশ করে।
বিভিন্ন কারণে ইরানের এবারের নির্বাচন শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। পারমাণবিক প্রকল্প থেকে সরে আসা, বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নিয়ে বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের দর-কষাকষি চলছে। এছাড়া পরমাণু চুক্তিতে ফেরা নিয়ে রয়েছে ইসরাইলে হুমকি। তাই এসব নিয়ে ইরানের আগামী রাজনৈতিক নেতৃত্ব বড় ভূমিকা রাখবে।
ইরানের প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি এবারের নির্বাচনে দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও রক্ষণশীল রাজনীতিকদের সমর্থন পেয়েছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন। তবে হাসান রুহানির বিরুদ্ধে জয় পাননি।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে ইসরাইলকে কিভাবে দেখে নতুন প্রেসিডেন্ট।
মিডল ইস্ট আইয়ের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ইব্রাহিম রাইসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তেহরান এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক পরিবর্তনের যেকোনো সম্ভাবনা আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।
ওই খবরে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলকে কিভাবে দেখেন তার কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে এক বক্তব্যে গাজায় ইসরাইলি বোমা বর্ষণের সময় ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়ায়ের জন্য হামাসের প্রশংসা করেছিলেন। সে সময় তিনি ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে জেরুজালেমের স্বাধীনতা চেয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের বীরোচিত প্রতিরোধ আবারও দখলদার ইহুদিদের পিছু হটতে বাধ্য করেছে। এটাকে তিনি পবিত্র জেরুজালেম স্বাধীন হওয়ার আরেকটি ধাপ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ইরানের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আরও বলেছিলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের যুবকদের প্রতিরোধ মুসলিম এবং আরব উম্মাহর জন্য ব্যাপক জয় বয়ে এনেছে। এটা মুসলিম এবং বিশ্বে স্বাধীনতাকামীদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যে সব সরকার প্রতিযোগিতা করছে ফিলিস্তিনি তরুণদের প্রতিরোধ তাদেরকে লজ্জিত করেছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্য থেকে সহজেই বোঝা যায় ইসরাইলের ব্যাপারে তিনি সর্বদা আপসহীন থাকবেন।
London Bangla A Force for the community…
