ব্রেকিং নিউজ
Home / সিলেট / ‘পরকীয়া প্রেমে’ আইনজীবী হত্যা, রিমান্ডে স্ত্রী

‘পরকীয়া প্রেমে’ আইনজীবী হত্যা, রিমান্ডে স্ত্রী

 

সিলেটে পরকীয়া প্রেমের জেরে এডভোকেট আনওয়ার হোসেন হত্যা মামলায় স্ত্রী শিপা বেগমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৬ জুন) রিমান্ড শুনানি শেষে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী। তিনি জানান, ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য মরদেহ উত্তোলন করে পূনরায় ময়নাতদন্ত করার জন্য আরেকটি আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

ইয়াছিন আলী বলেন, আবেদনে কি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত সেই আদেশের কপি এখনও আমরা পাইনি। আদেশের কপি পাওয়ার পর পর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (১ জুন) পরকীয়া প্রেমিক শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও গ্রেপ্তার শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামিসহ মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার (২ জুন) দিবাগত রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত আনওয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেনের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর জানিয়েছেন, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন নগরীর তালতলা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তাঁর অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিলো শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামের একজনের সাথে। এর জেরেই আনওয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। তিনি গত ৩০ এপ্রিল তারিখে সেহরি খেয়ে ঘুমান। পরদিন দুপুর প্রায় ৩ টার দিকে স্ত্রী সবাইকে জানান আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন। পরে তাকে দাফন করা হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারেন পরকীয়ার জেরে তাকে স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে হত্যা করেছেন। এজন্য চলতি মাসের ১ তারিখ সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে আদালতে শুনানি শেষে কোতোয়ালি থানার ওসিকে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।