শিগগিরই বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করবে ইরান
শিগগিরই বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করবে ইরান
বার্ষিক চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইরানসহ চারটি আফ্রিকান দেশের সাধারণ পরিষদে ভোটাধিকার স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। তেহরানের দাবি, এই সিদ্ধান্ত চরম অযৌক্তিক এবং চাঁদা দিতে না পারার জন্য দায়ী বিশ্বজুড়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।
জাতিসংঘ সনদের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, যেসব দেশ দুই বছর জাতিসংঘকে বার্ষিক চাঁদা দিতে ব্যর্থ হবে, সাধারণ পরিষদে তাদের ভোটের অধিকার বাতিল হবে। এই কারণে ইরান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কমোরোস, সাও তোমে এন্ড প্রিনসিপ ও সোমালিয়ার ভোটের অধিকার বাতিল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক চিঠিতে সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, ইরানসহ এই দেশগুলো জাতিসংঘ সনদের ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে।
গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক জানিয়েছেন, যে কোনও দেশ বার্ষিক চাঁদা প্রদানের দুই বছরের সময়সীমা পার করে ফেললে এমন চিঠি পাঠানো স্বাভাবিক ঘটনা।
এর আগে ২০২০ সালের শুরুতে ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন ও লেবাননও সাময়িক সময়ের জন্য ভোটাধিকার হারিয়েছিল।
মহাসচিব চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ইরানকে ভোটের অধিকার ফিরে পেতে হলে এক কোটি ৬২ লাখ ৫১ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে।
এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির দাবি, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না ইরান। ফলে জাতিসংঘের চাঁদা দিতে পারেনি তারা।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইরানের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান খাদ্য ও জরুরি ওষুধপত্র কিনতে পারছে না- এই বিষয়টি উপেক্ষা করে চলেছে জাতিসংঘ।
টুইটারে এক পোস্টে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাগজে-কলমে জাতিসংঘ ইরানকে তার ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করলো।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ব্যাংক থেকে জাতিসংঘের চাঁদা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা হবে।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস ও পার্স টুডে