বিশ্বে দ্রুত গতিতে খাবারের দাম বৃদ্ধির রেকর্ড তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্বে খাবারের ব্যয় সূচক ব্যবহার করে জাতিসংঘ দেখিয়েছে বিগত ১২ মাস ধরে খাবারের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত মে মাসে গত বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে ৩৭.৫ শতাংশ। ২০১০ সালের অক্টোবরের পর এটাই সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধির নজির।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ফুড প্রাইস ইনডেক্স এর মাধ্যমে বিশ্বে শস্য, তেলবীজ, নিত্যপণ্য, মাংস, চিনিসহ নানা খাবারের দাম পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এই সূচকের পাঁচটি উপাদানের দামই বেড়েছে। কয়েকটি দেশে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলেই দাম বেড়েছে। এছাড়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় সরবরাহ বিঘ্ন ঘটায় স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়া সংকটও দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
মহামারির মধ্যে উৎপাদন, শ্রমিক এবং পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন সরবরাহকারীরা। খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে আরও ব্যাপক মূল্যস্ফিতি এবং মুদি দোকানের অতিরিক্ত বিলের প্রভাব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চাহিদা বৃদ্ধি এবং কম উৎপাদন অব্যাহত থাকলে বাড়বে মূল্যস্ফিতি। তবে কয়েকটি সেক্টর ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বে এই বছর রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যশস্য উৎপাদনের দিকে ইঙ্গিত করে এফএও বলেছে, এতে দামের ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা কমে আসতে পারে।