আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া থেকে
ইসরাইলের একতরফা নৃশংস হামলায় মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণ। এমতাবস্থায় খাদ্য ও চিকিৎসার মানবিক সহযোগিতার পাশাপাশি ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা দিতে জাতিসঙ্ঘের অনুমোদনক্রমে সেখানে সেনাবাহিনী পাঠাতে চায় মালয়েশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা এ খবর দিয়েছে।
সোমবার বিকেলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী লেবানন, ফিলিপাইন, সুদান, সিয়েরালিওন এবং কঙ্গোতে জাতিসঙ্ঘের ব্যানারে শান্তিরক্ষা বাহিনী হিসেবে অনেক মিশনে অংশ নিয়েছে। তাছাড়া মালয়েশিয়া ১৯৭৮ সাল থেকেই জাতিসঙ্ঘের ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে আল আকসা ও ফিলিস্তিনে আর্থিক এবং মানবিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জাতিসঙ্ঘের অনুমোদন বা অনুরোধ না পেলে মালয়েশিয়া এককভাবে একক সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী পাঠাতে পারে না। এখানে আন্তর্জাতিক আইনকানুনের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই জাতিসঙ্ঘের যথাযথ নির্দেশনা পেলেই মালয়েশিয়া থেকে ফিলিস্তিনে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী পাঠাতে আমরা প্রস্তত। মালয়েশিয়ায় দুদিন আগে ফিলিস্তিনে মানবিক সহযোগিতা পাঠানোর জন্য সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওগুলোর সমন্বয়ে তহবিল গঠন করা হয়েছে। তাই শিগগিরই ফিলিস্তিনে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে।
এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা এবং মঙ্গল কামনায় সোমবার বাদ মাগরিব মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ ‘মসজিদ নেগারা’সহ দেশের প্রতিটি মসজিদ ও সুরাউতে সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেশটির রাজা ইয়াং ডি-পারতুয়ান আগোং আল-সুলতান আবদুল্লাহ রি’আয়াতুদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ ও তার স্ত্রী রাজ দরবার মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য সালাতুল হাজতের নামাজ আদায় করেন।
London Bangla A Force for the community…
