সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃহস্পতিবার উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সৌদি ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, ইরান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ঈদ উদযাপিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতেও এদিন ঈদ উৎসব পালিত হয়েছে। তবে করোনা মহামারির কারণে সব দেশেই স্থানীয় বিধিনিষেধ মেনে ঈদের জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
সৌদি আরবে সীমিত পরিসরে ঈদের নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। কোভিড বাস্তবতায় কারফিউ জারি থাকায় গত বছরও দেশটিতে লোকজনকে নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করতে হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, দুবাইয়ের মুসল্লিরা বৃহস্পতিবার সকালে উন্মুক্ত মাঠে ঈদের জামাতে শামিল হয়েছে। করোনা বিধিনিষেধ মেনে এবং নিজ নিজ জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে তারা জামাতে অংশ নেন। ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তুরস্কে দীর্ঘ ৮৭ বছর পর এবার প্রথমবারের মতো হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আল ওয়াজবাহ ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের জামাতে শামিল হন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা চালানো হয়।
গত কয়েক দিনে গাজায় দখলদার বাহিনীর হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নিজ বাড়িতেই বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন এক সন্তানসম্ভবা নারী ও তার শিশু সন্তান। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশুও রয়েছে। এমন তাণ্ডবের মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছে ফিলিস্তিনিরা। দখলদার বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আল আকসা মসজিদে ঈদের জামাতে শামিল হয়েছে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। অনেকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত করে শিশুদেরও নিয়ে এসেছেন সেখানে।
London Bangla A Force for the community…
