নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা চলছে, ঠিক এমন সময় নির্বাচন কমিশনে মহাজোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের দৌড়ঝাপ দেখা যাচ্ছে। আর এরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম, অর্থনৈতিক বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মহিলা নেত্রী শিরীন সুলতানা।
নির্বাচন কমিশনে এসে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের কে বৈঠক করেন। তবে কী বিষয়ে বৈঠক হয়েছে তা জানা যায়নি।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনে ফলাফলের আগে একটি গ্রহণযোগ্য ভোট কাস্টিং দেখানোর অনুরোধ আছে মতাসীন দলটির। এর আগে গতকাল তিন দফায় নির্বাচন কমিশনে আসেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
তথ্যমন্ত্রী
আর সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছে। আমরা মনে করি সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘাতময় সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা সরকারের একটি রাজনৈতিক সাফল্য। এই জন্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে আনুষ্ঠানিক কোন বৈঠক ছিল না। তবে নির্বাচন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের কাজ দেখতে এসে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি।
বিরোধীদলের নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অযুক্তিকভাবে নির্বাচন বর্জন করেছে তারা একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের রূপরেখা দিতে পারে নি। তারা দেশে সংঘাত চায়, তাই তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরী ছিল।
তিনি বলেন, এই সংঘাতময় সময়ে নির্বাচন করা সরকারের একটি রাজনৈতিক সাফল্য। ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি।
স্বস্ফূর্তভাবে ভোটারেরা ভোট দিয়েছেন দাবি করে ইনু বলেন, আমরা কাউকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে পাঠাইনি। ভোটারের নিজেদের ইচ্ছায় স্বস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর এই নির্বাচন কি গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে উত্তরণ না পিছানো এমন প্রশ্নের জবাব সরাসরি এড়িয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন ছিল। নতুন সরকার এ বিষয়ে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে প্রধান বিষয় হলো জঙ্গীবাদ দমন। তারপর রাজনৈতিক বিষয়।