হাজার হাজার জনতার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের ৪ দফা জানাজা শেষে বাদ আছর চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়েছেন তার জন্মস্থান গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগরে।
প্রিয় নেতাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য ও শেষ বিদায় জানাতে ১ম,২য়, ৩য় জানাজার ন্যায় ৪র্থ জানাজাতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো ডাঃ ইদ্রীস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ।অবশেষে অগণিত মানুষের শোক, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার রাধানগর গ্রামের নির্জন কবরেই নিশ্চিত হলো তার আসল ঠিকানা।
এর আগে বাদ জুমা শাহজালাল(র.) দরগাহ মসজিদে প্রথম, হরিপুরে বেলা আড়ইটায় দ্বিতীয় এবং জৈন্তাপুরের দরবস্তে বেলা ৩টায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা হযরত শাজালাল (র.) দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাযার পরপরই মরহুমের লাশবাহী গাড়ী রওয়ানা হয় জৈন্তাপুরের উদ্দেশ্যে।অনুষ্ঠিত হয় ২য় জানাজা হরিপুর বাজার মাঠে। পরে তৃতীয় জানাজা হয় উপজেলার দরবস্ত হাই স্কুল খেলার মাঠে। দরবস্ত খেলার মাঠে তৃতীয় জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। সেখানে তৃতীয় জানাযার পর বাদ আসর মরহুম দিলদার হোসেন সেলিমের চতুর্থ জানাযা অনুষ্ঠিত হয় গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর ডাঃ ইদ্রিস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
হাজার হাজার জনতার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে শুক্রবার বাদ আসর ডাক্তার ইদ্রিস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চতুৰ্থ জানাযার মধ্যে দিয়ে শেষ বিদায় জানালো তাদের মহান নেতাকে, শায়িত করা হয় মা বাবার কবরের পাশেই। এসব জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের শতশত মানুষ।
দাফনকালে ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওসমান গনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া হেলাল, উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান লেবু, তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেদ আহমদ, লেংঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আহমদ, রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন শিহাব,ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী,সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রহিম, জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরান, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট নুর আহমদ, বিএনপি নেতা এম এ মতিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফারুক আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এডভোকেট শাহজাহান সিদ্দিকী,জাহাঙ্গীর আলম, সেচ্ছাসেবকদল নেতা গোলাম সারোয়ার সোহেল, রুহুল আমিন,জেলা ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান, জসীম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমদ, সদস্য সচিব মুমিনুল হক, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সাইদুর রহমান, নাসির উদ্দিন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, ডাক্তার নুর মোহাম্মদ, গোয়াইনঘাট প্রবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আমির উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা আবুল কালাম, ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান হেলোয়ার, ইউসুফ আহমদ, সোহেল আহমদ, সাহেদ মেম্বার রিয়াজ মেম্বার সাব্বির আহমদ সানি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল আহমদ সদস্য সচিব মোসলিম উদ্দিন সহ আওয়ামী বিএনপি জামায়াত জমিয়ত সহ সর্ব সাধারণ।
দিলদার হোসেন সেলিমের ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন শামন জানান, আমেরিকা প্রবাসী সাবেক এ এমপি’র তিন ছেলে-মেয়ে আজ শুক্রবার ভোর ৫টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল(র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় নভোএয়ারযোগে তারা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন। সেখান থেকে তারা বাবার লাশ দেখতে সিলেটে ডায়াবেটিক হাসপাতালে যান।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে নগরীর মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বিএনপি নেতা দিলদার সেলিম।