কেরানীগঞ্জে কুকুরের মাথা-চামড়াসহ সুরুজ মিয়া নামে কসাইয়ের এক সহযোগীকে পুলিশ আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে সুরুজকে হাতেনাতে আটক করেন এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সুরুজের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায়। তিনি হাসনাবাদ হাউজিং কমিউনিটি সেন্টার রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুরুজের এক প্রতিবেশী জানান, সুরুজ তিন মাস ধরে এ এলাকায় বসবাস করছিলেন। তিনি হাসনাবাদ এলাকায় জাকির মাংস বিতানে চাকরি করতেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুরুজের কক্ষে লাল রঙের একটি কুকুর দেখে প্রতিবেশীরা তাঁকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। তখন সুরুজ জানান, তিনি কুকুরটি পোষার জন্য এনেছেন। রাত দুইটার দিকে সুরুজের রুমে রক্ত মুছতে দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এ সময় প্রতিবেশীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন কুকুর কোথায়। উত্তরে সুরুজ বলেন কুকুর ছেড়ে দিয়েছেন। এতে সন্দেহ হলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন কুকুর জবাই করে মাংস এক মহিলার কাছে বিক্রি করেছেন। এরপর প্রতিবেশীরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশে সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরুজের ভাষ্য অনুযায়ী বাসার পাশের এক ডাস্টবিন থেকে কুকুরের মাথা ও চামড়া উদ্ধার করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরুজ নামের এক মাদকাসক্ত যুবককে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুরুজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি ডাস্টবিন থেকে কুকুরের মাথা ও চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে মূল ঘটনা জানা যাবে।
London Bangla A Force for the community…
