হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাকে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঝর্নার বাবার করা জিডির পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে। গোয়েন্দা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ এপ্রিল ঝর্নার বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।এছাড়া সোমবার ঝর্নার বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কলাবাগান থানায় আরেকটি জিডি করেন। ঝর্নার বাবার করা জিডিতে অভিযোগ করা হয়, মামুনুলের বোনের বাসায় ঝর্নাকে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি মেয়ের জীবনশঙ্কার কথা জিডিতে উল্লেখ করে দ্রুত উদ্ধারের আবেদন করেন।
এরপরই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জান্নাত আরা ঝর্নার অবস্থান জানার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় ঝর্নাকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঝর্নাকে উদ্ধারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
যে বাসা থেকে ঝর্নাকে উদ্ধার করা হয় সেটি মামুনুল হকের বোন দিলরুবার বাসা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ঝর্নাকে উদ্ধারের পর তার আইনগত অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সাবেক সেনাসদস্য। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তাকে সম্প্রতি দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
হেফাজতের বহুল আলোচিত নেতা মামুনুল হককে ১৮ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৮ মামলা রয়েছে।
এর আগে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন মামুনুল হক। ওই নারীই ঝর্না। তিনি ঝর্নাকে ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ হিসেবে দাবি করেন।
London Bangla A Force for the community…
