স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেছেন হেফাজতের নেতারা। সোমবার রাত দশটার দিকে হেফাজতের অন্তত ১০ জন নেতা বৈঠকের জন্য সেখানে যান।
তাদের নেতৃত্বে ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী। তার সঙ্গে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ নিয়াজী, মাওলানা মামুনুল হকের বড়ভাই বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা বৈঠকে অংশ নেন।
প্রায় ১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১১টার দিকে মন্ত্রীর বাসা থেকে বের হন হেফাজতের নেতারা।
বেরিয়ে যাবার সময় হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী শুধু বলেন, ‘সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা এখনই বলতে পারছি না। আমরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেব।
বৈঠকে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, ‘আপনার বা আমার আত্মীয় গ্রেফতার হলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যেতেই পারি। সেজন্য সেটাকে তো বৈঠক বলা যায় না।’
সূত্র জানায়, হেফাজত নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রীর একান্তে কথা হয়। এ সময় হেফাজত নেতারা নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে তাদের দ্বারা বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, শিগগিরই তিনি (মন্ত্রী) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় যাবেন। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের বোঝাবেন, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ভালো নয়।