ব্রেকিং নিউজ
Home / বিনোদন / ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন গায়িকা মমতাজ

ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন গায়িকা মমতাজ

 

গত ১০ এপ্রিল ভারতের তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন বাংলাদেশের গায়িকা ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। ঘোষণাটি মমতাজ দিয়েছেন ১২ এপ্রিল ঢাকায় ফিরে।

এর পর থেকেই গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি নামের ভারতের ঐ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে নেতিবাচক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে।

২০২০ সালে ‘গ্লোবাল পিস ইউনিভার্সিটি’ নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠান চলাকালে চেন্নাই পুলিশের অভিযানের বিষয়টিও সামনে এসেছে। যার মোদ্দাকথা, ভুয়া প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ডক্টর অব মিউজিক’ পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের এই গায়িকা।

অনেকেই দাবি করছেন, গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি নামে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠানই নেই ভারতে! অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠান এই সম্মাননা দিয়ে থাকে। প্রশ্ন উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট ডোমেইন-হোস্টিং নিয়েও।

বিষয়টি আদৌ কতটুকু সত্য- জানতে চাওয়া হয়েছিল মমতাজের কাছে। তিনি বলেন, ‘ভুয়া বলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসছে, সেটা এটা নয়। তারা আমার সঙ্গে গত বছর থেকে যোগাযোগ করেছে। করোনার কারণে আমি ডিগ্রিটি গ্রহণ করতে পারিনি। তাই তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। আমি যাচাই-বাছাই করে দেখেছি।’

তবে মমতাজ দাবি করলেও অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভারতের ৯৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির নাম। তাদের কেন্দ্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ৫৪টি, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৫টি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৫টি, এবং ইউজিসি অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর তিন সেকশন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করা হয় আরও ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম নেই।

তবে মমতাজের দাবি সেখানে আগত অতিথি সবাই বেশ সম্মানীয়। তিনি ছাড়া আরও যে ৪-৫ জন ডিগ্রি পেয়েছেন, তারা আগেও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

মমতাজ বলেন, ‘আমি ছাড়াও চেন্নাইয়ের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি অতিথি হিসেবে ছিলেন। এরমধ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালাম ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, লোকাল চ্যানেলের মালিক, কমিশনারসহ অনেকই ছিলেন। একই সময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থিরু এজে মুরুগানানথাম ও তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব। এছাড়া পুরো অডিটোরিয়াম পূর্ণ ছিল। এত মানুষ ভাড়া করে নিয়ে আসা যায় না। কিংবা মেকি হলে তা বোঝা যাবে।’

মমতাজের ডিগ্রিপ্রাপ্তি নিয়ে শুধু সমালোচনাই নয়, অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উচ্চশিক্ষিত না হয়েও এমন প্রাপ্তিকে বিশেষ অর্জন বলেছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, শনিবার (১০ এপ্রিল) ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি এ সম্মাননা দিয়েছে তাকে। তারা উল্লেখ করে, বিশ্বের প্রথম শিল্পী হিসেবে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবামের রেকর্ড, সুদীর্ঘ ৩০ বছর বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা ও সমাজসেবা ছাড়াও নানামুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রেখে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মমতাজ।