বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার আইসিডিডিআরবির রিপোর্টে তার কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় আলোচনা।
তবে বিএনপি কিংবা খালেদা জিয়ার পরিবারের কেউ এখনও পর্যন্ত তার করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তারা এখনও এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের এক সদস্য সরাসরি দাবি করেছেন বিএনপি নেত্রীর করোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য ভুল। তার করোনার নমুনা পরীক্ষাই করা হয়নি।
গুলশানের ফিরোজায় বসবাস করা খালেদা জিয়ার নিয়মিত খবরাখবর রাখেন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা রহমান।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নো কমেন্ট’। আর খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমি তো বেশ কয়েকদিন ধরে যাইনি। শরীরটা ভালো না। এ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নিয়মিত দেখভাল করেন ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও খালেদা জিয়ার ভাগনে ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন। এ বিষয়ে ডা. মামুন যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার করোনা রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ বলে যে তথ্য ছড়াচ্ছে সরকার তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
তিনি বলেন, ‘উনার করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। যে রিপোর্ট ভাইরাল হয়েছে, এটা ভুয়া। এটা সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুনের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এটি চেয়ারপারসনের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গুলশান কার্যালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত নই।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্টের একটি কপি ভাইরাল হয়েছে। সেটি কিউআর কোড স্ক্যান করলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানা যায় সেখানে চলে যায়। সেখানে এই কপিটি দেখা যায়।
৭৫ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগও সীমিত।
London Bangla A Force for the community…
