মার্কিন প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক উদারতার পরিচয় দিয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘আপনারা তাদের একটি দ্বীপ (ভাসানচর) দিয়েছেন।’
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হয়েছে এবং এখন মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটি বর্তমান সময়ের একটি বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরি বলেন, ‘আপনারা তাদের একটি দ্বীপ (ভাসানচর) দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নয়। এটি তাদের সমস্যা সমাধান করবে না।’
জন কেরি আরও বলেন, ‘নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন এ বিষয়ে নজর রাখছেন। তিনি এবং মার্কিন প্রশাসন মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবকিছু করবেন।’ এর ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর যে চাপ ও চ্যালেঞ্জ আছে, সেটি কিছুটা কমবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, এটি বাংলাদেশের একার বোঝা নয়।
যুক্তরাষ্ট্র অনেক চেষ্টা করেছে যাতে করে মিয়ানমার সঠিক পথে অগ্রসর হয়।’ আমাদের আশা অনেক বেশি ছিল বলেও তিনি জানান।
জন কেরি বলেন, ‘আমি অং সান সুচির সঙ্গে নিজে দেখা করেছি, যাতে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যায়। আমি মিয়ানমারে গিয়েছি এবং সেখানকার জেনারেলদের সঙ্গে দেখা করেছি। দায়বদ্ধতার বিষয়ে বলেছি। কিন্তু তারা এটিকে সম্মান দেয়নি।’