হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে নারীসহ ঘেরাও করার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বের করা মিছিল থেকে হামলায় আহত আওয়ামী লীগের কর্মী মো. মুহিবুল্লাহ মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মুহিবুল্লাহর বাড়ি উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কোদালা গ্রামে। তিনি কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তাঁর স্বজনেরা বলছেন, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে এনে দাফন করা হবে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বলছেন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ সোনারগাঁয়ে ঘেরাওয়ের প্রতিবাদে গত শনিবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল থেকে লাঠিসোঁটা দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. মুহিবুল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজমকে মারধর করা হয়। আবদুল জব্বার ও দিলদারকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত মুহিবুল্লাহকে চট্টগ্রাম নগরের পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তিনি মারা যান।
এদিকে হামলার ঘটনায় গত সোমবার রাঙ্গুনিয়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও হেফাজত–সমর্থক ৬৪ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলার মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গুরুতর আহত হওয়ার ও অপরটি ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইউনুছ মনিকে প্রধান আসামি করা হয়।
গতকাল রাতে হামলা মামলার আসামি কোদালা ইউনিয়নের মো. ফোরকান (৩৫), মো. ইয়াহিয়া (২৮) ও শিলক ইউনিয়নের বাবর আলমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুব মিল্কী বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।