মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম নামধারী কিছু উগ্রপন্থী দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা ধর্মকেগ ব্যবহার করে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক পক্ষ যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালাচ্ছে আর আরেক পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন- আমরা এ তাণ্ডবের নিন্দা জানাই।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চা বাগান এলাকায় কাজী সাইয়্যেদুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে আজকে পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে এটা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাদের (হেফাজতের) সাধের পাকিস্তান আজকে ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র আর বাংলাদেশে এত উন্নয়ন এত এগিয়ে যাবে এটা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা বিভিন্ন ছুতা খুঁজে অকারণে আন্দোলন করছে। কিন্তু আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর, ইনশাল্লাহ, জাতি জানতে পারবে সব কিছু।
তিনি বলেন, হেফাজতের টাকার উৎস কোথায়। সেগুলো জাতির সামনে পরিষ্কার হবে। আমি আর আপনি নয় তাদের ব্যাপারে ব্যাংক সাক্ষী দিবে সরকারের কাছে অনেক তথ্য অহরহ আসছে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের সব মানুষ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আপনারা দেখেছেন ধর্মের নামে কত তাণ্ডব চালানো হয়েছে। অফিস আদালত পুড়ানো হয়েছে। ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের অফিস পুড়ানো হয়েছে।
সেখানকার অনেক ডকুমেন্ট পুড়িয়েছে। সেখানকার মানুষ হাহাকার করছে। যারা জনগণের ক্ষতি করে, তারা কারো বন্ধু হতে পারে না। আমরা হক কানে আলেমদের অনুরোধ করবো, আপনারা আল্লাহর হুকুম সম্বন্ধে জনগণকে নসিহত করবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করেছি। এসব প্রাইমারি স্কুল ও হাই স্কুল গুলোকে আমরা চেষ্টা করেছি চারতলা করে দেওয়ার জন্য এবং একইভাবে সব মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোর ভবন করে দিয়েছে। রাস্তা ঘাট সংস্কার করাসহ গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি সাব মার্সিবল পাম ২০২১ সাল থেকে বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম আজাদ, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. হিরু মিয়া, মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাছিম কবীর। মন্ত্রী দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভবন ও ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।