করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চীন কয়েক মিলিয়ন ফেক আইডি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে জনপ্রিয় কিছু পেজ ব্যবহার করে সম্ভবত এই কাজটি করছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি।
যদিও চীনে ফেসবুক নিষিদ্ধ। তার পরেও চীনের বেশ কিছু পেজে বিশ্বের বিভিন্ন সেলিব্রিটির চেয়ে অনেক বেশি ফলোয়ার রয়েছে। বিশেষ করে উইল স্মিথ, মেসি, জাস্টিন বিবার, কেটি পেরি এবং রকের চেয়ে এসব পেজের ফলোয়ার বেশি।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএন-এর ফেসবুক পেজে ফলোয়ারের সংখ্যাও রেকর্ড সংখ্যক। এমনকি বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং কোকাকোলা, ইউটিউব ও ম্যাকডোনাল্ডসের চেয়ে এসব পেজের ফলোয়ার বেশি।
দ্য সান অনলাইনকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনের যেসব পেজে ফলোয়ার বেশি, পশ্চিমাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য ছড়াতে এসব পেজ থেকে বুস্ট করা হয়ে থাকে।
ওফকম চীনা রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল সিজিটিএন-এর লাইসেন্স প্রত্যাহার করার পর ফেসবুকেও তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। সিজিটিএন ছাড়াও চায়না ডেইলি, শিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি, দ্য গ্লোবাল টাইমস এবং পিপলস ডেইলির পেজে ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক বেশি।
ব্রিটিশ সাংসদ টম টুগডেনহাট বলেছেন, চীনকে প্রোপাগাণ্ডা চালাতে দেওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছে ফেসবুক। চীনের এসব ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি ঠেকাতে ফেসবুকের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সাংসদ তবিয়াস এলাউড।
যদিও ফেসবুকের দাবি, তারা ক্ষতিকর আধেয় সরিয়ে দেয়। পর্যবেক্ষক সংস্থা সোশ্যালবেকারস বলছে, গত কয়েক মাসে চীনের ওইসব পেজের ফলোয়ার বেড়েছে কয়েক মিলিয়ন।
সূত্র: দ্য সান