দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর কথোপকথনের প্রচারিত অডিওটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিএনপি।
শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন। কোভিড-১৯ সংক্রামণ বৃদ্ধির কারণে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী একজন কর্মরত আইনজীবী, একজন সক্রিয় মানবাধিকার কর্মী এবং সচেতন রাজনীতিক। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। এটা সম্পূর্ণভাবে একটি ষড়যন্ত্রমূলক, সাজানো তৈরি করা এবং তাকে মিথ্যা দোষারোপ করার একটি জঘন্য চক্রান্ত।
তিনি বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারও মিথ্যা প্রচারণা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। গত কয়েক দিনের সরকারি বাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক হত্যা, আওয়ামী এজেন্টদের দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা এবং সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য অডিও নাটক সাজিয়ে আমাদের নারী নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার, রিমান্ড নেওয়া ও সারা দেশে পুনরায় হাজার হাজার অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করার হীন পরিকল্পনা করছে সরকার। তাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিরোধী দলকে পুনরায় মামলা মোকদ্দমার বেড়াজালে আটকে গণতন্ত্র উদ্ধার, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে ব্যাহত করা, দমন করা।
গত কয়েক দিনের বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ঢাকায় ৮টি মামলায় কয়েক হাজার আসামি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে কোনো মামলা করা হয়নি। অথচ বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের হামলায় প্রায় ৫০ জন আহত এবং চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ প্রায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী হচ্ছেন ১৫ জন। হবিগঞ্জে ১টি মামলায় ৪০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র জিকে গউছের ছেলে ব্যারিস্টার মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রীতমসহ অনেক গ্রেফতার, নারায়ণগঞ্জে ৭টি মামলায় ৩ হাজার ৯০০ আসামি, কিশোরগঞ্জে ২টি মামলায় ৬৪ জনসহ বিএনপির ২ হাজার ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা অসামি করা হয়েছে।