করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইংল্যান্ড ছাড়া পুরো ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের ১২টি দেশ থেকে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। যুক্তরাজ্য এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেবিচক।
১২টি দেশ হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক, উরুগুয়ে। ৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্সগুলো ইউরোপ এবং এই ১২ দেশে ট্রানজিট যাত্রী বহন করতে পারবে। তবে যাত্রী ট্রানজিটের সময় কোনও অবস্থায় বিমানবন্দরের টার্মিনাল বাইরে যেতে পারবেন না। যদি কোনও যাত্রী এয়ারপোর্টের বাইরে যান তবে তার করোনা পরীক্ষার সনদের কার্যকারিতা থাকবে না। তাকে নতুন করে সেদেশ থেকে করোনা পরীক্ষা করে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আসলে তাকে চার দিন বাধ্যতামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানে অথবা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই সেসব দেশে থেকে বাংলাদেশে আসতে সব যাত্রীকে পিসিআর ভিত্তিক করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা টেস্ট করতে হবে। করোনার জন্য ভ্যাকসিন নিলেও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
দেশে আসার পর বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা লক্ষণ দেখা গেলে যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত স্থানে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠানো হবে। কোনও লক্ষণ না দেখা গেলে যাত্রী নিজে বাড়িতে গিয়ে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও ওই ১২ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সেসব দেশের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে যাত্রীদের। ফলে সেসব দেশের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এবং এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রী পরিবহন করলে যাত্রীরা ইউরোপ ও সেই ১২ দেশে যেতে পারবেন।