আগামী রোববারের (৪ এপ্রিল) মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক ও হরতালে নাশকতায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী পিপলস পার্টি।
একই সঙ্গে রোববারের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা না হলে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে দলটি।
আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী পিপলস পার্টি আয়োজিত ‘ইসলামের নামে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’-শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন।
মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, অযথা জ্বালাও-পোড়াও করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলামের স্বার্থে বা ইসলামিক কোনো দাবি আদায়ের ক্ষেত্রেও ইসলামের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে দেশে ইসলামী ধর্মীয় দলগুলোকে আরো সচেতন হওয়া দরকার।’
হরতালের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই হরতাল কঠোরভাবে পালন করা হবে। রিকশা-সাইকেল কোনো কিছুই চলতে দেব না। সেই সঙ্গে মামুনুল হকের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। তিনি লালবাগে থাকুন বা যেখানেই থাকুন, তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে এনে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হবে। যত রক্তের বিনিময় হোক তাকে আমরা ছিনিয়ে আনব।’
মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান চলাকালে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এসব তাণ্ডবে মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ নিরীহ বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ধর্মীয় একটি সংগঠনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড ইসলাম কতটুকু সমর্থন করে কিংবা ইসলামে আদৌ এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো সুযোগ আছে কি না, তা অবশ্যই পরিষ্কার হওয়া দরকার।’
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা কাজী শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আলহাজ্ব মো. হাজী হাবিবুল্লাহ, নড়াইলের পীর হারুনুর রশিদ মিরন, মাওলানা কাজী আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ তাহেরুল ইসলাম, হাফেজ মো. আবুল কালাম, হাফেজ মাওলানা মো. ইব্রাহিম, মুফতি মাওলানা মো. তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোর সময় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চার মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে আবারও সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।