ব্রেকিং নিউজ
Home / মতামত / প্রণব মুখার্জি হিরো না নাকি জিরো!

প্রণব মুখার্জি হিরো না নাকি জিরো!

জুবায়ের আহমেদ।। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি মারা গেছেন ।তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম কোন বাঙালী ব্যক্তি যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তার রাজনীতির জীবন ছিল প্রায় ৬০ দশকের। আমার আলোচ্য বিষয় তার জীবন এখানে তোলে ধরা নয়।বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যে প্রভাব কাটিয়েছিলেন তার কিছুটা এখানে তোলে ধরার চেষ্টা মাত্র। মুখার্জি বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তারে মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশ কে তাতে আলাদা একটা দাবী কাটাতে চায় ভারত সব সময় বাংলাদেশের উপর।স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করেছিল নানা ভাবে।বাংলাদেশ যাতে মাথা তোলে বিশ্ব দরবারে দাঁড়াতে না পারে সে পথ বন্ধ করে দিতে চেয়েছে ভারত বার বার। তবে বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে তাদের এই মুড়লিপনায় ব্যাঘাত ঘটেছে ততবার। ১৯৯২ সাল ও ২০০১ সালে বিএনপি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে ভারত তার প্রভাব হারায়। তাই ২০০১ সালের বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় ভারত পাগলপারা হয় যায় তাদের মদদপুষ্ট আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় বসাতে । নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে বাংলাদেশ কে নিয়ে।আর এসবের মূল কারিগর ছিলেন প্রণব মুখার্জি। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে যখন সেনা সমর্থিত সরকার গঠিত হয় তখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখার্জি।তিনি সেনা সমর্থিত সরকার কে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তৎকালীন বাংলাদেশ সেনা প্রধান মঈন উ আহমেদের সাথে।প্রণব মুখার্জি তার লেখা ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ বই এ বাংলাদেশের রাজনীতির উপর তাঁর প্রভাবের কথা তোলে ধরেছেন।তিনি সে বইয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় লিখেছেন,২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সেনা প্রধান মঈন উ আহমেদ ভারত সফরের সময় প্রণব মুখার্জির কাছে তার চাকরীর নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন।মঈন উ আহমেদের আশংকায় ছিল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তাকে চাকরিচুত্য করা হবে।তবে,মুখার্জি তখন তাকে আশস্ত করেন তার চাকরির কোন সমস্যা হবে না।এর পর ২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচন হল ।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসল, মঈন উ আহমেদও চাকরী হারালেন না। এতে বুঝা গেল সব কিছুই ঠিক টাক ছিল।
তাদের মধ্যে ক্ষমতার অদল-বদল নিয়ে সমঝোতা হয়ে ছিল সেটা ছিল পরিস্কার। এভাবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য ছেড়ে দেয়া হয় ভারতের কাছে। শুরু হয় ফাসিবাদি সরকারের পদচলা। অসহ্য নির্যাতন করা হয় বিরোধী দলগুলোর নেতা কর্মীদের উপর। এক এক করে গনতান্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কে ধংস্ব করে দেয় আওয়ামীলীগ সরকার গত এক দশকে। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জোর করে ধরে রেখেছে অবৈধ্য সরকার।দেশে বাক স্বাধীনতার টুটি চেপে ধরা হয়েছে।ভারত তার তাবেদার সরকার কে ক্ষমতায় রাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে
ঠিকই কিন্তু দেবার বেলায় ঝুলাচ্ছে শুধুই মূলা!
বাংলাদেশের গনতন্ত্র কে ধংস্ব করতে প্রণব মুখার্জি যে ভূমিকা রেখেছেন সে জন্য বাংলাদেশের জনগন তাকে ঘৃণা ভরে স্বরণ করবে আজীবন।