রিজেন্ট হাসপাতালের করোনার ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৬ হাজারই ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
বুধবার বিকালে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্টের ওপর কালো রঙের বোরকা পরে ছিলেন। সাহেদ গ্রেফতার এড়াতে গোফ কেটে ফেলেছিলেন, সাদা চুল কালো করেছিলেন। গ্রেফতারের পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে সাহেদকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর উত্তরায় তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে রিজেন্ট সাহেদের আটকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এ সময় সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন এবং কীভাবে তাকে ধরা সম্ভব হল সেই বিস্তারিত তথ্য দেন র্যাব ডিজি।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সে (সাহেদ) করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের নামে প্রতারণা করছিল। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক করোনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে সাহেদের প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, বিনামূল্যে পরীক্ষা করার কথা থাকলেও ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা করে নেয়া হতো এবং পুনরায় পরীক্ষার জন্য ১০০০ গ্রহণ করতো। আইসিইউতে ভর্তি করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতো। একদিকে রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আরেক দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিলও জমা দিয়েছে সাহেদের হাসপাতাল রিজেন্ট।
র্যাব ডিজি বলেন, সাহেদ করিম নিজেকে যতোই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, সে মূলত চতুর ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিষয়ে জানা গেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।