প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৩ জুন দিনটি যেন আনলাকি থার্টি হিসাবে দেখা দিল।
এই দিনে সকালে শেখ হাসিনা হারালেন মোহাম্মদ নাসিমকে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, আমি একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।
মোহাম্মদ নাসিম শেখ হাসিনার খুবই বিশ্বস্ত ছিলেন। এক এগার সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শাসনামলে নাসিমসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর নির্যাতনের মূখে কেউ কেউ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার পক্ষ্যে মতামত দিয়েছিলেন কেউ কেউ। যা সেই সময় গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে শত নির্যাতন সহ্য করেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি নাসিম। বিএনপি- জামায়াত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর প্রধান স্পট হয়ে উঠেছিল রাসেল স্কোয়ার। আর সেখানে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন প্রয়াত নাসিম। বারবার পুলিশের নির্যাতন সহ্য করেছেন তিনি। কিন্তু আন্দোলন থেকে নাসিমকে পিছু হটানো যায়নি।
১৩ জুন রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা গেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার অারেক বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা। দীর্ঘদিন তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ আব্দুল্লাহ। এছাড়া নিজ নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা আব্দুল্লাহকে। হেফাজত ইসলামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভাল করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখেন আব্দুল্লাহ। কওমী মাদ্রাসার সঙ্গে সরকারের ভাল সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখেন প্রয়াত আব্দুল্লাহ।