ত্রাণচুরির অভিযোগে আরো দুজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।এ নিয়ে মোট ৮৭ জনকে বরখাস্ত করা হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম মলাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল আত্মসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিউল ইসলাম তসকিরকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ দুজন চেয়ারম্যান ও সদস্যের সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৮৭ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৫২ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।