মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে দলে দলে মানুষ এসে হাজির হয়েছেন শহীদ বেদিতে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাধারণ মানুষের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
এর আগে রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা অন্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরপর শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের প্রবেশ শুরু হয়। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রের সকল কাজ মাতৃভাষা বাংলায় হবে এটাই প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্টজনরা। তাদের ভাষ্য, এখনও অনেক দাফতরিক কাজ বাংলা ভাষায় হয় না। সেগুলো বাংলায় হওয়া উচিত।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড . মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মাতৃভাষা বাংলায় হাইকোর্টের রায় লেখা শুরু হয়েছে। সব কাজ মাতৃভাষা বাংলায় হওয়া উচিত। উচ্চশিক্ষায় বাংলা প্রচলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিদেশি লেখকদের বইগুলো বাংলায় অনুবাদ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে।