মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করে সংসদ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের পথ আটকে অকথ্য নির্যাতন চালায় পুলিশ। মিছিলে সামিল প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের গোপনাঙ্গে লাথি মারে তারা, এমনকী ছিঁড়ে দেয় ছাত্রীদের হিজাবও।
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে সংসদের দিকে রওনা দেয় অসংখ্য প্রতিবাদী। সেই সময় তাদের পথ আটকায় পথ আটকিয়ে আহত করে পুলিশ। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তাই গণমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন জামিয়ার প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।
তাদের প্রতিবাদ মিছিল রুখতেই ‘পরিকল্পিত’ ষড়যন্ত্র করে হামলা চালায় দিল্লি পুলিশ। এ নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কমপক্ষে ২০ জন আহত শিক্ষার্থী তাদের উপর হওয়া পুলিশি হামলার বিবরণ তুলে ধরেন। একজন আহত মহিলা শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘যখন আমি দেখলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে পুলিশ ব্যাপক মারধর করছে, তখন আমি ওদের সাহায্য করার জন্যে ছুটে আসি। আমি যখন ব্যারিকেড পার হচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন মহিলা পুলিশ আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। একজন পুরুষ পুলিশ কর্মী আমার গোপনাঙ্গে লাথি মারলে আমি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাই।
অন্য এক ছাত্রী জানান করেন, ‘পুলিশ কর্মীরা আমার উরুর উপর উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। আমার একটা লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। ওরা আমার হিজাবও ছিঁড়ে ফেলে।
শুধু অভিযোগ নয়, ওই মহিলা শিক্ষার্থীরা তাদের আহত হওয়ার প্রমাণ হিসাবে মেডিকেল রিপোর্টও দেখান এবং পুরুষ শিক্ষার্থীরা আহতদের ছবি তুলে ধরেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
সূত্র: এনডিটিভি