জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীন সাংবাদিক ও লেখক ইসহাক কাজল।
বুধবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদের প্রাঙ্গনে বাদ জোহর ইসহাক কাজলের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর তাকে লন্ডনের হেইনল্টস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ সময় তার দীর্ঘদিনের সাংবাদিক সহকর্মীছাড়াও রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মীসহ বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক কাজল ১৯৪৮ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের পতনউষা ইউনিয়নের ব্রাম্মনউষার গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি পতনউষা বালক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, নয়াবাজার কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সিলেট মদনমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
মরহুম ইসহাক কাজল শুধু সাংবাদিক হিসেবে সাহসীকতার স্বাক্ষর রাখেননি, তিনি চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া ও মাগুরছড়াসহ বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে একজন অগ্রসৈনিক ছিলেন। তার লেখালেখির অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী প্রবাসী লেখক এওয়ার্ডে ভূষিত হন।
এক সময় ইসহাক কাজল লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটিতে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার ইন্তেকালে বিলেতে বাংলা মিডিয়ার যে ক্ষতি সাধিত হল তা অপূরণীয়। প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব।
প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুবায়ের এর স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় তাঁর নানা কর্মবহুল কর্মকান্ডের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। ক্লাব নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে রমফোর্ডের কুইন্স হাসপাতালে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংবাদিক ইসহাক কাজল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ছেলে, মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
Credit: শীর্ষবিন্দু নিউজ