মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ঘিরে দলীয় নেতাদের গতিবিধি মনিটরিংয়ে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। দলীয় নেতার বাইরের লোকদের সমন্বয়ে এ টিম গঠন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। টিমে রয়েছেন শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, ডাক্তার ও শ্রমিক নেতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পেশার লোক। তিনি সরাসরি টিম লিডারের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
টিমে কাজ করছেন এমন এক সদস্য ইনকিলাবকে জানান, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে এবং দায়িত্ব পালন করতে টিম গঠন করা হয়েছে। দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি সামনে রেখে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন টিমের সদস্যরা। একই সাথে কর্মসূচি ভ-ুলে ভূমিকা রাখা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করবেও টিমটি।
সূত্র জানায়, গাদ্দার, দু’দিল, ফটোসেশনধারী নেতাদের চিহ্নিত করতেই এবার কর্মসূচির আগেই মনিটরিং টিমকে বিভিন্ন কমিটি, উপ-কমিটি, জেলা-থানা ও মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং অভিযুক্ত নেতাদের কর্মকা- নিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সারাদেশের বিএনপির ৭৫ সাংগঠনিক জেলার নেতা, ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ খাতভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের খোঁজ-খবর রাখছে টিমটি। গতকালও একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। টিমের দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান দলের এক স্থায়ী কমিটির সদস্য।
সূত্রমতে, দেশব্যাপী রোডমার্চের পর চলতি বছরের ১২ জুন নয়াপল্টনে ‘চলো চলো, ঢাকায় চলো কর্মসূচি দেয়া হয়। সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিরো টলারেন্সে ছিলো। কোথাও কোথাও সরকারদলীয় নেতারাও বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি করেছে। সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। অঘোষিত সরকারি হরতালের চিত্র দেখা গেছে। তার পরও দলীয় নেতাকর্মীরা কর্মসূচি সফল করেছিলো। কিন্তু কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। খোদ চেয়ারপার্সনের কাছে অভিযোগ করেছেন দলের ত্যাগী নেতারা। সুবিধাভোগী ও গাদ্দার নেতারা মুখে কর্মসূচি সফলের কথা বললেও কার্যত সেদিন নিষ্ক্রিয় ছিলো। কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে তাই ম্যানেজ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলো। অনেক নেতার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ হাজার হাজার শ্রমিক সমেত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু কর্মসূচির দিন তা চালু রেখেছে। অনেক নেতার লঞ্চ, বাস-ট্রাকসহ যানবাহন বন্ধ রেখেছে। অনেকেই আবার ঢাকার অদূরেই অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিলেন। অজুহাত দেয়া হয়েছে সরকার তাদের ঢাকায় ঢুকতে দেয়নি। ১২ জুনের ওই কর্মসূচি সফলে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার তৃণমূল নেতাকর্মীরা বাসে-ট্রাকে করে ঢাকায় আসলেও তারা স্থানীয় নেতাদের কোনো সহযোগিতা পায়নি। শত শত নেতাকর্মী আটকা পড়েছিলো ঢাকাতেই।
London Bangla A Force for the community…
