প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সংসদে ও সংসদের বাইরে সরব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সংসদ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সে প্রসঙ্গে সংসদে মুখ খুলছেন খোদ নরেন্দ্র মোদি।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তা ভালো জানা আছে।’
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের চক্রান্ত রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে নামাই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের কারণ।’
বছর ঘুরলেই রাজ্যে নির্বাচন। তৃণমূলকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া মোদি সরকার। তাই লোকসভায় সব রাজ্য ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব মোদি। তাও দিল্লির শাহিন বাগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোয় উৎসাহিত পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সংসদ সদস্যরা একসঙ্গে ওঠে দাঁড়ান। কিন্তু মোদি খুব দ্রুত প্রসঙ্গ পরিবর্তন করায় খেই হারিয়ে বসে পড়েন তারা। সাধারণত মোদির আক্রমণ যেমন চাঁছাছোলা হয়ে থাকে, এ দিন অবশ্য তা মনে হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ মুহূর্তে মমতার রাজ্য নিয়ে বিশেষ কথা তিনি বাড়াতে ইচ্ছুক নন। কিন্তু সেখানকার ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’ সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। এখন আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে। সঠিক সময়ে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলবে বিজেপি।
পাল্টা জবাবে সুদীপ বাবু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যকে শুধু আক্রমণই নয়, বিভিন্ন দিক থেকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরসি-সিএএ নীতির বিরুদ্ধে মমতাই প্রথম পথে নেমেছেন। দেখাদেখি সরব হয়েছেন অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা। ফলে পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন মোদি।’