মহামারীর আশঙ্কায় যখন বেশ কয়েকটি দেশ চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মারাত্মক করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান থেকে চীনে আটকেপড়া ৩১৬ বাংলাদেশিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তাদের আশকোনার হজক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এদিকে যে পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে তা দেখে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না স্বজনরা।
এদের কারো মধ্যে করোনাভাইরাস থেকে থাকলে খুবই দ্রুত বাকি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীন থেকে আসা ৩১১ বাংলাদেশির হজক্যাম্পে অবস্থানের পরিবেশ বিষয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান নিজের ফেসুবক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তার সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো –
‘আমার এক বন্ধুর ছোট ভাই চীনের উহান প্রদেশে ছিল। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর আতঙ্কে সেখান থেকে স্বস্তির আশায় ছোট ভাইকে দেশে ফিরে আসতে অনুরোধ করে। কিন্তু আশকোনার হজক্যাম্পে যে পরিবেশে তার ছোটভাইসহ ৩১১ জন বাংলাদেশিকে রাখা হয়েছে তাতে স্বস্তির বদলে তাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
আমি তার কাছ থেকে শুনছিলাম আর বিস্মিত হচ্ছিলাম। আমি যেটা বুঝি কোয়ারেন্টাইন মানে একজন মানুষকে একদম আলাদা করে রাখা। কিন্তু এখানে একরুমে ৫০-৬০ জন মানুষকে রাখা হয়েছে। তাও হজক্যাম্পের মেঝেতে পাশাপাশি ডজন ডজন ম্যাট্রেস পেতে। আচ্ছা এই শীতের মধ্যে মানুষকে মেঝেতে রাখা হলে তারা তো ঠাণ্ডাতেই অসুস্থ হয়ে যাবে। আচ্ছা এখন যদি এদের কারও করোনা ভাইরাস হয় তাহলে যে দ্রুতগতিতে ছড়াবে সেটা কী নীতি নির্ধারকরা বুঝতে পারছেন না?
আরেকজন বলছেন, একটা রুমে ৬০-৭০ নারী-পুরুষ ও শিশু একসঙ্গে থাকবে। সেই জায়গাটা কেন পরিচ্ছন্ন নয়? এতে কী রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে না কমছে? আরেকটা কথা সেখানে এতো মশার উৎপাত কেন?
একজন প্রশ্ন করেছেন, অনেক মানুষ মিলে একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে। বালতিও একটি। অথচ এ রোগ থেকে বাঁচতে সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।
আরও শুনবেন? উহানফেরত সবাইকে দিনে ২ লিটার করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। অথচ প্রত্যেকের জন্য এখানে দেয়া হয়েছে আধা লিটারের দুটো পানির বোতল। গরম পানিরও ব্যবস্থা এখনও হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের বলবে, প্লিজ এদের দিকে একটু নজর দেন। বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাদের এনে নতুন করে যেন বিপদে না ফেলা হয়।’
হজক্যাম্পে চীন থেকে ফেরত বাংলাদেশিদের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানিয়ে শরিফুল হাসান লিখেছেন,
‘আরেকটা কথা, বাংলাদেশে এখন প্রচুর চীনা গীজগিজ করছে। পারলে সেইদিকে একটু নজর দিন। আমি জানি বিষয়টাকে আপনারা হালকা করে দেখছেন না। তবু বলবো করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সর্বোচ্চ নজর দিন। একটু এদিক সেদিক হলেই ভয়াবহ পরিস্থিতি নেমে আসতে পারে। ডেঙ্গুর সময় আমরা দেখেছি আমাদের ব্যবস্থাপনা কতো দুর্বল!
ইতিমধ্যেই তো অসাধু তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। আগে যেখানে খুচরো বাজারে একেকটি মাস্কের দাম দুই টাকা ছিল এখন সেটি ২০ টাকা। আর আগে যেখানে একটা ৫০টির একটি বক্স ৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেটা এখন ১৫০ টাকা। দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্যাপাসিটি আছে। ক্যাপাসিটির উদাহরণ শুনবেন?
চীন থেকে আসা এক বাংলাদেশি যুবক তীব্র জ্বর নিয়ে এলে তাকে সারারাতেও হাসপাতালে না নিয়ে বিমানবন্দরে রাখা হয়। কেন রাতেই ভর্তি না করে পরদিন ভর্তি করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, এটা নিশ্চিত হয়ে ভর্তি করানো হবে, নাকি সন্দেহভাজন যে কাউকে ভর্তি করানো হবে, তা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা।‘
এরপর তিনি নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন,
‘নীতি নির্ধারকদের বলব, প্লিজ এতোটুকু হেলাফেলা করবেন না। আপনারা জানেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশও যেন আমরা সবাই সতর্ক থাকি। ওপরওয়ালা আমাদের রক্ষা করুন।’
আমার এক বন্ধুর ছোট ভাই চীনের উহান প্রদেশে ছিল। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর যে আতঙ্ক সেখান থেকে স্বস্তির আশায় ছোট ভাইকে দেশে ফিরে আসতে অনুরোধ করে। কিন্তু আশকোনার হজক্যাম্পে যে পরিবেশে তার ছোটভাইসহ ৩১১ জন বাংলাদেশিকে রাখা হয়েছে তাতে স্বস্তির বদলে তাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
আমি তার কাছ থেকে শুনছিলাম আর বিস্মিত হচ্ছিলাম। আমি যেটা বুঝি কোয়ারেন্টাইন মানে একজন মানুষকে একদম আলাদা করে রাখা। কিন্তু এখানে একরুমে ৫০-৬০ জন মানুষকে রাখা হয়েছে। তাও হজক্যাম্পের মেঝেতে পাশাপাশি ডজন ডজন ম্যাট্রেস পেতে। আচ্ছা এই শীতের মধ্যে মানুষকে মেঝেতে রাখা হলে তারা তো ঠাণ্ডাতেই অসুস্থ হয়ে যাবে। আচ্ছা এখন যদি এদের কারও করোনাভাইরাস হয় তাহলে যে দ্রুতগতিতে ছড়াবে সেটা কী নীতি নির্ধারকরা বুঝতে পারছেন না?
আরেকজন বলছেন, একটা রুমে ৬০-৭০ নারী-পুরুষ ও শিশু একসঙ্গে থাকবে। সেই জায়গাটা কেন পরিচ্ছন্ন নয়? এতে কী রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে না কমছে? আরেকটা কথা সেখানে এতো মশার উৎপাত কেন? একজন প্রশ্ন করেছেন, অনেক মানুষ মিলে একটি ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে। বালতিও একটি। অথচ এ রোগ থেকে বাঁচতে সব সময় পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।
আরও শুনবেন? উহানফেরত সবাইকে দিনে ২ লিটার করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রত্যেকের জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে আধা লিটারের দুটো পানির বোতল। গরম পানিরও ব্যবস্থা এখনও হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের বলবো, প্লিজ এদের দিকে একটু নজর দেন। বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাদের এনে নতুন করে যেন বিপদে না ফেলা হয়।
অরেকটা কথা, বাংলাদেশে এখন প্রচুর চীনা গীজগিজ করছে। পারলে সেইদিকে একটু নজর দিন। আমি জানি বিষয়টাকে আপনারা হালকা করে দেখছেন না। তবু বলবো করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সর্বোচ্চ নজর দিন। একটু এদিক সেদিক হলেই ভয়াবহ পরিস্থিতি নেমে আসতে পারে। ডেঙ্গুর সময় আমরা দেখেছি আমাদের ব্যবস্থাপনা কতো দুর্বল!
ইতিমধ্যেই তো অসাধু তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। আগে যেখানে খুচরো বাজারে একেকটি মাস্কের দাম দুই টাকা ছিল এখন সেটি ২০ টাকা। আর আগে যেখানে একটা ৫০টির একটি বক্স ৬০ টাকায় বিক্রি হতো সেটা এখন ১৫০ টাকা। দুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্যাপাসিটি আছে। ক্যাপাসিটির উদাহরণ শুনবেন?
চীন থেকে আসা এক বাংলাদেশি যুবক তীব্র জ্বর নিয়ে এলে তাকে সারারাতেও হাসপাতালে না নিয়ে বিমানবন্দরে রাখা হয়। কেন রাতেই ভর্তি না করে পরদিন ভর্তি করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, এটা নিশ্চিত হয়ে ভর্তি করানো হবে, নাকি সন্দেহভাজন যে কাউকে ভর্তি করানো হবে, তা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝিতে এই ঘটনা।
নীতি নির্ধারকদের বলবো, প্লিজ এতোটুকু হেলাফেলা করবেন না। আপনারা জানেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ায়, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশও যেন আমরা সবাই সতর্ক থাকি। ওপরওয়ালা আমাদের রক্ষা করুন।