ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ ‘সব ধরনের সম্পর্ক’ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
কায়রোতে আরব লিগের জরুরি বৈঠকে আব্বাস বলেন, ‘ফিলিস্তিন অঞ্চলে ক্ষমতা দখলের জন্য ইসরায়েলকে দায় নিতে হবে।’
আরব লিগ থেকে এর আগে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিষয়ক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। ফিলিস্তিন এই প্রস্তাবকে ‘অন্যায্য’ বলে দাবি করে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় আমেরিকা কিংবা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের যে প্রস্তাব অনুসারে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, সেই একই প্রস্তাব অনুসারে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার কথা। সাড়ে ছয় দশক পরে ইসরায়েল এখন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ। আর ফিলিস্তিনবাসীর জন্য স্বাধীনতা অধরাই রয়ে গেছে।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে দুটি রাষ্ট্র (একটি ইহুদি, অন্যটি আরব) গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। অসম ও অন্যায্য এই যুক্তিতে আরবেরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। উল্টো ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হলে প্রতিবেশী চারটি আরব দেশ মিসর, সিরিয়া, জর্ডান ও ইরাক একযোগে ইসরায়েলকে আক্রমণ করে। সেই যুদ্ধে আরবেরা পরাজিত হয় এবং ইসরায়েল জাতিসংঘ পরিকল্পনায় তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশের জায়গায় মোট ৭৭ শতাংশ দখল করে নেয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যায় নাক গলানোয় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।