টেস্টে মোটেও ভালো নয় পেসার রুবেল হোসেন। বোলিং গড় ৮০.৩৩ ও স্ট্রাইকরেট ১২৩.২। ক্রিকেটের এই অভিজাতের ফরম্যাটের চেয়ে রঙিন পোশাকে বেশ ভালো টাইগার এ পেসার। কিন্তু এই পেসারের ওপরই আস্থা রাখলেন নির্বাচকরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ১৪ সদস্যের দলে রুবেলকে রেখেছেন নির্বাচকেরা। তাকে জায়গা দিতে বাদ দেওয়া হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দল ঘোষণার পর মোস্তাফিজকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। জানালেন রুবেলকে দলে টানার কারণও।
মোস্তাফিজ ভারতে বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু দুই টেস্টের একটিতেও দলে সুযোগ পাননি। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে। সাদা পোশাকে তার ওপর নির্বাচকরা আস্থা রাখতে পারেনি।
টেস্টে মোস্তাফিজের ফর্মটা এখন আগের মতো নেই। কোনো ইনিংসে ৩ উইকেট পেয়েছেন-এমন নজির খুঁজতে গেলে যেতে হবে প্রায় দুই বছর আগে। তার খেলা সর্বশেষ পাঁচ ইনিংস মিলিয়ে শিকার মাত্র ২ উইকেট। এ ছাড়া টেস্টে বাঁহাতি এ পেসারের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন আছে।
মিনহাজুলের যুক্তি, ‘ও তো টেস্টে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে অনিয়মিত। টেস্টের আগে ওর কিছু সমস্যা থাকে। টেস্টের আগে খেলতে পারে না। আর পারফরম্যান্সও ভালো না। পারফরম্যান্স হিসাব করেই বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখছি বিসিএলে কেমন করে।’
রুবেল দেশের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবার বিপিএলে সাদা বলে ২০ উইকেট পেলেও তাকে রাখা হয়েছে টেস্ট দলে। রুবেল কি তবে টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স দিয়ে টেস্টে ফিরলেন? মিনহাজুল অবশ্য অন্য ব্যাখ্যা দিলেন। প্রথম তাসকিন আহমেদকে চেয়েছিলেন নির্বাচকেরা। কিন্তু তাকে না পাওয়ায় ব্যাকআপ হিসেবে রুবেলকে নেওয়া।
রুবেলকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে মিনহাজুল বলেন, ‘বিপিএলে তো ও ভালো বল করেছেই। কিন্তু ছোট সংস্করণ ও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট তো এক না। আমরা অভিজ্ঞদের চাচ্ছিলাম। প্রথমে তাসকিনকে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে ওমরা করে এসেছে, দুই সপ্তাহ ক্রিকেটে ছিল না। কাল আবার খেলার সময় ১০ ওভারের মতো করে মাঠ ছেড়ে গেছে পেশিতে টান পড়ায়। দেখলাম যে ফিটনেস এখনো ঠিক নেই। আজ যদিও আবার বল করেছে। টেস্টে যদি পুরোপুরি ফিট থেকে বল করার অবস্থা না থাকে, তাহলে তো সম্ভব নয়। তাই ব্যাকআপ হিসেবে রুবেলকে নেওয়া। যেহেতু তিনজন পেসার আবার আছেই। চার নম্বর হিসেবে রুবেলকে নেওয়া।’